শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঈদে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে বিশেষ ছাড়

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৩, ১১:০১ এএম

শেয়ার করুন:

ঈদে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে বিশেষ ছাড়

ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। ঈদের দ্বিতীয়দিন থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আগমন বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পর্যটক টানতে বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন হোটেলগুলো।

কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে চলছে বিশেষ ছাড়।


বিজ্ঞাপন


তারকা মানের হোটেলগুলোতে চলছে ৪০ শতাংশ এবং অন্যান্য হোটেল মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোতে থাকছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়। তাই এবার ঈদের টানা ছুটিতে কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

বুধবার বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় পর্যটক সুমের শাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পাওয়ায় চলে এসেছি কক্সবাজার। পরিবার নিয়ে সমুদ্র সৈকতে এসে খুব ভালো লাগছে। এখন বর্ষা, উত্তাল সাগর, একের পর এক বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে কূলে। তার সঙ্গে রয়েছে নির্মল হাওয়া। সাগরের আসল রূপ দেখার মৌসুম এই বর্ষা ঋতু।

cox


বিজ্ঞাপন


সৈকতে গোসল করতে আসা দম্পতি জমির চৌধুরী ও শারমিন চৌধুরী বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম। ভালো লাগার একটি ঋতু। গরমে কক্সবাজার অনেকবার আসার চেষ্টা করেও আসা হয়নি। এখন এসে ভালো লাগছে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড় দিলেও রুম বুকিং হয়েছে ৭০ শতাংশ। তারপরও আমাদের  আশা, ঈদুল আজহার পরদিন থেকে সৈকতে পর্যটকদের ঢল নামবে। তাই তাদের স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

সী গাল হোটেলের ম্যানেজার তারেক আজিজ বলেন, এবারের ঈদুল আজহা পড়েছে বর্ষা মৌসুমে। এরইমধ্যে হোটেলের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে, বাকিগুলো বুকিং হয়ে যাবে আশা করি। আর বর্ষা মৌসুমে পর্যটকরা কক্সবাজার এসে ভিন্ন এক অন্যরকম প্রকৃতির রূপ দেখতে পাবেন।

হোটেল কক্স-টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এবার ৪০ শতাংশ ছাড়ে রুম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে যেভাবে বুকিং হয়, এবার তা হয়নি। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। আশা করি, আগামী দুই দিনের আশানুরূপ বুকিং হবে। আর ঈদুল আজহার ছুটিতে ভালো ব্যবসা হবে।

Cox

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাগর যেহেতু উত্তাল থাকবে। তাই সৈকতে টহল, টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ ও বোট নিয়ে সাগরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে লাইফ গার্ডের কর্মীরা। তবে পর্যটকদের কাছে তাদের অনুরোধ, ঈদের টানা ছুটিতে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামার আগে অবশ্যই লাল-হলুদ পতাকা চিহ্নিত স্থানে এবং লাইফ গার্ড রয়েছে এসব এলাকায় নির্দেশনা মেনে সমুদ্রস্নান করার।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, ঈদে কক্সবাজার ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের  নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর জন্য কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রসৈকত, মার্কেট, হোটেল মোটেল জোন, পর্যটন স্পটগুলোয় যাতে পর্যটকরা নিরাপদ ও আনন্দের সঙ্গে কাটাতে পারে তার জন্য কাজ করছে আমাদের টিম।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর