কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানই এখন বনে গেছে গরু পরিবহনের গাড়ি। তবে যে কেউ চাইলেই পশুর হাট থেকে গরু পরিবহন করতে পারছেন না। এর জন্য আগে থেকেই নিতে হয়েছে টোকেন। আর এই টোকেন বাবদ পিকআপ চালকদের গুণতে হয়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
এবার রাজধানীর গাবতলীর গবাদি পশুর হাট এলাকায় অন্তত দুই শতাধিক পিকআপ ভ্যানে করে গরু পরিবহন করা হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা হাট ইজারাদারের থেকে অনুমতি নিয়েই গরু পরিবহন করছেন। এর জন্য তারা টোকেনও নিয়েছেন।নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক পিকআপ চালক ঢাকা মেইলকে জানান, হাট শুরুর আরও এক সপ্তাহ আগেই দুই হাজার টাকার বিনিময়ে টোকেন সংগ্রহ করেছেন তিনি। শুধুমাত্র এই টোকেনধারীরা হাটের কাছাকাছি এসে সেখান থেকে গরু পরিবহনে তুলতে পারবেন। আর যাদের টোকেন নেই, তাদের থাকতে হচ্ছে হাট এলাকা থেকে অনেক দূরে। টোকেন ছাড়া কাউকে হাট এলাকার মধ্যে ঢুকতে দেন না ইজারাদারের লোকেরা।
বিজ্ঞাপন
একই তথ্য মিলেছে হাটের সামনে অপেক্ষমাণ অন্যান্য পিকআপ চালকদের থেকেও। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অপর এক পিকআপ চালক বলেন, ‘টোকেন নিছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। চারদিন আগে নিছি। এখন ঈদের টাইম, মালামালের ট্রিপ কম। তাই গরু টানি।’
এদিকে, পশুর হাট এসে যারা গরু কিনে নিয়ে যান, তাদের অভিযোগ- পিকআপ চালকরা বরাবরই বেশি ভাড়া আদায় করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই পিকআপ চালক বলেন, ‘আমরা তো এইখানে ফাও দাঁড়াই নাই। টাকা দিয়া দাঁড়াইছি। ওই টাকাও তো তোলা লাগব।’এ বিষয়ে হাট ইজারাদারের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হাট সংশ্লিষ্ট একজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ঢাকা মেইলকে জানান, প্রতি বছরই পিকআপ ভ্যানের টোকেন দেওয়া হয় এবং টোকেন প্রতি টাকা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা স্থায়ী হাট। অন্তত ৫০ টাকা পিকআপ সবসময় থাকে। ঈদের আগে পিকআপ হয় পাঁচশ’র উপরে। সব পিকআপ তো হাটে আসতে দেওয়া যাবে না। তাই টোকেন দেওয়া হয়। পিকআপের বডির সাইজ অনুযায়ী টোকেন দিয়ে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়।’
কারই/আইএইচ