কয়েক বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। টাকা দিয়ে চামড়া কিনলেও ন্যায্যদাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এজন্য একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। এমন অবস্থায় সার্বিক চিত্র সরেজমিন দেখতে চামড়ার আড়ত পোস্তায় যান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
রোববার (১১ জুলাই) রাত দশটার দিকে ঢাকার সবচেয়ে বড় আড়তটিতে যা তিনি। সঙ্গে নেন সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে।
বিজ্ঞাপন
সেখানে গিয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। চামড়া ব্যবস্থাপনা, এর সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, রোববার বিকাল থেকে ভোক্তা অধিদফতরের তিনটি দল ঢাকা এবং সাভার এলাকায় মনিটরিং করেছে। আজ (সোমবার) তিনি সাভারের হেমায়েতপুরের ট্যানারি পরিদর্শনে যাবেন।
ভোক্তার মহাপরিচালক আরও জানান, ঢাকার বাইরে নাটোর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, খুলনাসহসহ সারাদেশে ভোক্তা অধিকারের টিম মনিটরিং করছে। আজও (সোমবার) মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানালেন গত বছরের তুলনায় এবার চামড়া ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক।
পোস্তার অবস্থা তুলে ধরে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, পরিদর্শনের সময় প্রতিটি আড়তে তাদের সংগৃহীত প্রায় ৭০ ভাগ চামড়ায় লবণ মাখানো দেখতে পান।
বিজ্ঞাপন
সেখানে মানভেদে ৭শ থেকে ৯শ টাকা পর্যন্ত চামড়া ক্রয় করা হয়েছে বলেও জানতে পারেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে, প্রতি বস্তা লবণ দিয়ে ৭ থেকে /৮টি চামড়া সংগ্রহ করা যায়। শ্রমিকের পারিশ্রমিকসহ প্রতিটি চামড়ার পেছনে আড়তে সব মিলে আরও ৩০০ টাকা খরচ হয়। আড়তদারদের দাবি, ট্যানারি মালিকরা অন্তত ১২শ টাকা করে চামড়া কিনলে এবার তারা লাভের মুখ দেখবেন।
পোস্তা আড়ত পরিদর্শনকালে ওই এলাকার যানজট লাঘবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেন সফিকুজ্জামান। লবণের সরবরাহের কোনো সমস্যা নেই বলে বলেও জানতে পারেন তিনি।
এছাড়া আড়ত পরিদর্শনে ভোক্তার ডিজি মৌসুমি ব্যবসায়িদের আনা সব চামড়া লবণ মাখানো ছাড়াই আনতে দেখেন। লবণ মাখানো ছাড়া এভাবে চামড়া আনলে চামড়া সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
বিইউ/এমআর

















































































































































































































































































































