রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

লবণের দাম বৃদ্ধি, চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় যশোরের ব্যবসায়ীরা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৩, ০৯:০২ এএম

শেয়ার করুন:

লবণের দাম বৃদ্ধি, চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় যশোরের ব্যবসায়ীরা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। ছোট-বড় মিলে ৩ শতাধিক চামড়ার আড়ৎ রয়েছে এখানে। সারা বছর এ হাটে চামড়া বেচাকেনা হলেও এবার কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এখানকার কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা।

রাজারহাটের চামড়ার আড়তদাররা জানান, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রধান অনুসঙ্গ লবণের বস্তা এখন কিনতে হচ্ছে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকায়। যার ফলে চামড়া প্রস্তুতে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


লবণের দাম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চামড়ার ন্যায্যমূল্যে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজারহাটে প্রায় ৭ হাজার পরিবার চামড়ার ব্যবসার ওপর নিরভরশীল। অর্থনৈতিক সংকটে কারণে এ ব্যবসা থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি পিস চামড়ায় তাদের ২শ থেকে ৩শ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। গত মৌসুমে ধারদেনা করে ট্যানারি মালিকদের কাছে বাকিতে চামড়া বিক্রি করেছেন তারা। ট্যানারি মালিকদের কাছে রাজারহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা এখনো বকেয়া টাকা পাবেন প্রায় ৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এ বছর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম বৃদ্ধি করেছেন। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

পাইকারি আড়ৎদার আবু বক্কর সিদ্দিক শাহীন বলেন, নানা অজুহাত দেখিয়ে ঈদের আগে লবণের দাম বৃদ্ধি করছের ব্যবসায়ীরা। এতে করে চামড়া প্রস্তুত করতে গিয়ে পুঁজিশূন্য হয়ে পড়ছি আমরা। এ পরিস্থিতিতে আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন তারা।পাইকারি আড়ৎদার মবিনুল মজিদ পলাশ বলেন, শুধু লবণের দাম বৃদ্ধি নয়, ভালো মানের চামড়া ব্যবসায়ীরা না আসার কারণেও দাম কম।


বিজ্ঞাপন


বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, লবণের দাম বৃদ্ধির কারণে এ বছরও চামড়া ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এ কারণে সরকার থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাহলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।

তবে লবণের ব্যবসায়ীর বলছেন অন্য কথা। লবণ আড়ৎদার ইমরান হাসান পাপ্পু বলেন, কোরবানি ঈদে লবণের চাহিদা একটু বেশি থাকে। লবণের সংকট থাকার কারণে দামও একটু বেশি।

এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সীমান্তবর্তী জেলার হলেও চামড়া পাচার হওয়ার কোনো সম্ভবনা নাই। পাশাপাশি এবার যারা কোরবানি দেবেন সাথে সাথে তারাই লবণ দিয়ে দেবে। এ জন্য সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর