আজ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এই ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার কসাই ছাড়াও মৌসুমি কসাইদের কদর বেড়ে যায়। লাখ লাখ পশু কোরবানি হওয়ায় রাজধানীমুখী হন অনেক মৌসুমি কসাই। ইটপাথরের নগরীতে চাহিদা বেশি হওয়ায় তারা গ্রাম থেকে ছুটে আসেন রাজধানীতে। তারই প্রমাণ মিলে নগরী অলিগলিতে।
ইতোমধ্যে অনেক কসাই ছুটে এসেছেন রাজধানীতে। অপেক্ষা করছেন আজ ঈদের দিনের জন্য কাজের। নগদ অর্থের পাশাপাশি মিলবে গোস্ত।
বিজ্ঞাপন
গ্রাম থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি কসাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। তারা বলছেন, প্রতিবারই ঈদে তাদের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার বাজার মূল্য বাড়লেও কসাই খরচ খুব একটা বাড়েনি। আগের মতই হাজারে ১০০ টাকা চাচ্ছেন মৌসুমি কসাইরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য মিলেছে।
গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় মৌসুমি কসাইদের একটি বড় অংশ এসেছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। যাদের কেউই পেশাদার কশাই নয়। যাদের অধিকাংশ নগরে রিকশা চালক। দক্ষতা না থাকলেও একদিনের কসাই হিসেবে কদর পাচ্ছে।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে প্রতি এক লাখ টাকার গরুতে ১২ হাজার টাকা চাচ্ছেন কসাইরা। তবে ১০ হাজার টাকা পেলেই তারা কাজ করবেন। এক্ষেত্রে একেকটি গরুর পেছনে কাজ করবেন তিন থেকে চারজন।
ভ্যান চালক থেকে মৌসুমি কসাই বনে যাওয়া রুবেল ঢাকা মেইলকে বলেন, আগেই কাজ ঠিক করে রাখলে চিন্তা কম থাকে। হুটহাট কাজ পাওয়া একটু কঠিন। তাদের দলের অধিকাংশই কাজ পেয়েছে বলে জানায় এ মৌসুমি কসাই।
বিজ্ঞাপন
কাজের মূল্য নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ১১ হাজার কইরা চাইছিলাম। পরে ১০ হাজারেই রাজি হইছি। একটু মাংসও দেবে। তিনজনে মিলা একটা গরু কাটুম।
এসকল মৌসুমি কসাই এবং সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেশাদার কসাইদের চাহিদা বেশি। তারা প্রতি লাখে চাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পেশাদার কসাইরা দ্রুত সময়ে মাংস কাটা ও চাহিদামত মাংসের সাইজ করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। অপরদিকে যত্ন নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে গরু কেটে দেওয়ার কথা বলছেন মৌসুমি কসাইরা।
রাজধানীর আফতাবনগর স্থানীয় গোস্ত বিক্রেতা খলিল। এরমধ্যে দুই জায়গায় দুটি গরু কেটেকুটে দেওয়ার চুক্তিও নিয়েছেন তিনি।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে খলিল বলেন, প্রতিবছরই কসাইয়ের কাজ করি। এইবারও করব। মোটামুটি চামড়া ছেলা, মাংস কাটা সবই পারি। দুই জাগায় দুইটা গরু নিছি। দুইডাই সকাল সকাল ধরুম। লোকও নিয়া নিছি।’
চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘লাখে ১০ হাজার করে নিয়েছি। গত বছরও এই দামেই করছি।’