ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে হাটের। মূল হাটের বাইরে গরুকে জায়গা করে দেওয়ার জন্য চলছে প্রস্তুতি। তৈরি হচ্ছে হাসিল ঘর।
ঢাকায় এবার কোরবানির পশুর হাট বসছে ২৩ জুন থেকে। দুই সিটিতে ১৭টি অস্থায়ী ও দুটি স্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসছে। ঢাকা উত্তরে ৯টি এবং দক্ষিণে হাট বসছে ১০টি। এরমধ্যে ঢাকা উত্তরের একমাত্র স্থায়ী হাট গাবতলী গবাদি পশুর হাট।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৪ জুন) সকালে গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাটের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। গরু বিক্রিকে কেন্দ্র করে বেড়িবাঁধ সড়কের গাবতলী থেকে ইট-বালুর ঘাট, সুইপার কলোনি এলাকাজুড়ে গরু বাঁধার জন্য বাঁশ লাগানো হয়েছে। ওপরে দেওয়া হচ্ছে সামিয়ানা। জায়গায় জায়গায় বিদ্যুৎ লাইন টেনে সাটানো হচ্ছে ফ্যান।
মূল হাট থেকে অন্তত ৫০০ গজ দক্ষিণ পর্যন্ত এরইমধ্যে বিস্তৃত করা হয়েছে হাটটি। আর এসব জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে হাসিল ঘর।
হাটের তত্ত্বাবধানে থাকা সজিব সরকার ঢাকা মেইলকে জানান, শনিবার বাঁশ লাগানো, সামিয়ানা তৈরি ও বিদ্যুৎ লাইন টানার অধিকাংশ কাজ শেষ হবে। কিছু কাজ বাকি থাকবে, যা রোববার সম্পন্ন হবে।
বিজ্ঞাপন
সজিব বলেন, হাটে প্রচুর মানুষ আসে। এটা একটা ঐতিহ্যবাহী হাট। ক্রেতাদের সব রকম সুবিধা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
এদিকে মূল হাটের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে, র্যাব ও পুলিশের কন্ট্রোলরুম। এছাড়া র্যাব, পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। রাখা হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন।
মূল হাট থেকে শুরু করে বর্ধিতাংশ পর্যন্ত সব জায়গায় রয়েছে হাট ইজারাদারের কর্মীরা। বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে ট্রাক থেকে গরু নামাতে প্রতি বছরের মতো এবারও তৈরি করা হয়েছে আলাদা জায়গা।
শনিবার সকালে সে জায়গা এক্সেভেটর দিয়ে বালু ফেলে পরিপাটি করতে দেখা গেছে।
কারই/এইউ