শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাজশাহীর ঈদের জামাতে সম্প্রীতির ডাক

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রাজশাহীর ঈদের জামাতে সম্প্রীতির ডাক

বৃষ্টির বাগড়ায় রাজশাহী হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দেওয়া হয়।

আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে মসজিদে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত এ বিশাল ঈদ জামাতে ইমামতি করেন নগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী।

তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ।

এসময় রাজশাহী সিটির নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাবৃন্দসহ মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

ঈদের প্রধান জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দেওয়া হয়। আহ্বান জানানো হয় সন্ত্রাসবাদ পরিহারের। পরে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় সাধ্যমতো পশু কোরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।


বিজ্ঞাপন


এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০টি এবং ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহ ও মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই ঈদের এ জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, চামড়া আমাদের অন্যতম একটি রফতানি আয়ের খাত। অতীতে নানা কারণে চামড়ার সঠিক মূল্য না পাওয়ার কারণে এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়নি, এখান থেকে দেশ সেইভাবে উপকৃতও হয়নি। কোনো মানুষ সাধারণত নিজের পরিবারের জন্য চামড়া রাখে না, এটি সাধারণত মানুষ মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন।

কিছু সিন্ডিকেট চামড়ার মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করে রাখে, যার কারণে তখন তারাও এটির মূল্য ঠিকমতো পান না, তাই এটি ঠিকমতো সংরক্ষিত হয় না। কাজেই আমি অনুরোধ করব চোরাচালান বন্ধ করতে হবে, চামড়া ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা যারা কোরবানি দেয় তারা যাতে লবন দিয়ে গরু বা খাসির চামড়া প্রাথমিক সংরক্ষণের কাজটি করি। পশুর থেকে চামড়া খুলে নেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কেটে না যায় সেদিকেও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান মেয়র।

অতীতেও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ভালোভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে। অতীতের ন্যায় আজকে সন্ধ্যার মধ্যে সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পারব আমরা। এ কাজে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন রাসিকের নবনির্বাচিত মেয়র।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর