দেশজুড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। সামনে গরমের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই অনেকের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে কোনো দোয়া আছে কি না জানতে চান অনেকে। হ্যাঁ, এ সম্পর্কে এক হাদিসে এসেছে, হজরত জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবী (স.)-এর কাছে কিছু লোক এলো। (গরমের তীব্রতায়) তারা কাঁদছিল।
বিজ্ঞাপন
নবীজি (স.) তখন তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন- اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের ওপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)। (আবু দাউদ: ১১৬৯, ইবনু খুজাইমা: ১৪১৬)
আরও পড়ুন: হাদিসে মেঘের গর্জনকে ফেরেশতাদের হাঁকডাক বলা হয়েছে, এর ব্যাখ্যা কী
হাদিসে গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে। এই ক্রোধ থেকে বাঁচতে রাসুল (স.)-এর শেখানো আরেকটি দোয়া হলো- اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি-মাতিকা ওয়া তাহাউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম: ২৭৩৯, আবু দাউদ: ১৫৪৫)
অতএব, তীব্র গরমে আমরা দোয়াগুলো পড়তে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। গরমের তীব্রতা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।