মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রংপুরে পৈত্রিক জমি উদ্ধারে ভুক্তভোগী পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রংপুর নগরীর ভগিবালা পাড়ায় ভুমিদস্যু-মাদক সম্রাট আনারুল ও  তমিজ উদ্দিন গং থেকে পৈত্রিক জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর ভগিবালা পাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আনোয়ার হোসেন।


বিজ্ঞাপন


লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, রংপুর নগরীর ভগিবালাপাড়ায়, জেএল নং-৬১, সিএস খতিয়ান নং-৬৮৪, এসএ খতিয়ান নং- ৫৯০, আরএস খতিয়ান নং-৬৫১, সাবেক দাগ নং-২৫৮, হাল দাগ-৯০৭, জমি-১০.৭৫ এর মধ্যে- ৩.৭৫ শতক জমির বর্ণিত সিএস রেকর্ডিং মালিক ভরসা শেখ। ভরসা শেখ জমি ভোগ দখলকালে মৃত্যু বরণ করলে ওয়ারীশ সূত্রে তার দুই কন্যা তমিজন বিবি ও নহিতন নেছা প্রাপ্ত হন এবং ভোগকালীন তাদের নামে এস এ মাঠ রেকর্ড সম্পন্ন হয়।

পরবর্তীতে ভরসা শেখের দুই কন্যা তফশিল বর্ণিত জমি কবলা দলিল নং- ১২২১৮/১৯৬৮  মূলে ছফর উদ্দিন বরাবরে হস্তান্তর করেন। ছফর উদ্দিন তফশিল বর্ণিত জমি যার কবলা দলিল নং- ২৪৩২১ তাং ০৫/০৭/১৯৭৪ ইং মূলে দাদি ছমিরন নেছা ও চাচা ছমির উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে দাদি ছমিরন নেছা ও চাচা ছমির উদ্দিন মিলে তফশিল বর্ণিত জমি যার দলিল নং-৩৬৯০৮/৭৫ তাং ১৮/০৮/১৯৭৫ মূলে আমার বাবা কামের উদ্দিন কান্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। সেই অনুযায়ী ১৯৯২ সালের আর এস মাঠ রেকর্ড আমার বাবার নামে সম্পন্ন হয়। সেই জমি ২৬/১২/২০১০ সালে হেবা দলিলে আমাদের তিন ভাই যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান এবং মনোয়ার হোসেন এবং দুই বোন ফেন্সি বেগম ও আমেনা বেগমের নামে ০.০৩৭৫ শতক জমি হস্তান্তর করেন। যার দলিল নং-২১৮৪৫/২০১০। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে আমরা দোকানপাট নির্মাণ করে ভোগ করতে থাকি। হঠাৎ কিছু দিন পূবে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও মাদক সম্রাট আনারুল ও তমিজ উদ্দিন গং বিধি বহির্ভূত ভাবে আমাদের তফশিল বর্ণিত জমির মালিকানা দাবি করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর আনারুল ও  তমিজ উদ্দিন গং আমার দোকানে এসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, সেই দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিলে মারপিট করে এবং আমার স্ত্রীর কাপড় টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। প্রাণ বাঁচাতে তাদের হাত থেকে কোনোমতে পালিয়ে যাই। এই সুযোগে তারা দোকান থেকে ৭৫ হাজার টাকা মালামাল লুট করে এবং ক্যাশ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে দোকান ভাঙচুর করে প্রায় ১৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরে পর থেকে আমাদের ওপর অত্যাচার আরও বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয় এলাকায় শান্তিতে থাকতে দেবে না, সেই সঙ্গে গোপনে মাদকদ্রব্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে এবং আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের চরম ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে তারা।

তিনি আরও বলেন, ভূমিদস্যু ও মাদক সম্রাট আনারুল একজন তালিকাভুক্ত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, যার কারণে তার ছবি থানায় ঝুলানো আছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে ইতিমধ্যে যৌথবাহিনী রংপুর, র‌্যাব ১৩ ও পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। এসময় তিনি পৈত্রিক জমি রক্ষাসহ পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন