‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও মিন্টু রোড এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সদস্য।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেহেতু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মিছিলের রুটের আশেপাশে রয়েছে, তাই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে পারবে। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢাবির টিএসসি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)। বখশীবাজার মোড়। প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)।
দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে মার্চ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকে মানুষের ঢল নামা শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও আয়োজকের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এক আয়োজক বলেন, আমরা সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার পক্ষে নই। আমাদের মিছিল ভালোবাসার এবং মানবতার বার্তা বহন করে।
এদিকে মিন্টু রোড সংলগ্ন এলাকায় আগেভাগেই কিছু পুলিশ সদস্যকে সাদা পোশাকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট জানিয়েছে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো উসকানিমূলক পোস্ট বা কার্যকলাপে নজর রাখছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, জননিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে সাময়িক কিছু যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে, তবে শহরের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, একদিকে গাজার শিশুদের প্রতি ঢাকাবাসীর ভালোবাসার বার্তা, অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা এই দুই দিক সামলে রাজধানী ঢাকা এখন ‘সতর্ক কিন্তু সংবেদনশীল’ অবস্থায়।
এমএইচএইচ/এএস