প্রস্তুত পদ্মা সেতু। প্রস্তুত সমাবেশের মঞ্চও। কিছু সময় পরই উন্মোচন হতে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মা-বিধৌত জনপদ। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। কিছু সময় পরই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে। উন্মোচন হবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার।
সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তারপর শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে দলীয় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
দেশের দীর্ঘতম সেতুটির জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নতুন রূপে সেজেছে পদ্মার পাড়। যার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভাস্থলের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজও। লাখ লাখ মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগের ব্যবস্থা। পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছয় শতাধিক টয়লেট, থাকছে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। নদীপথে আসা মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ২০টি পল্টুন। থাকবে ৪০ শয্যাবিশিষ্ট তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল।
প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জনসভাস্থলের সভামঞ্চ পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হচ্ছে। থাকছে ছয় দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন। আর এসব ঘিরে মানুষের মনে, বিশেষ করে পদ্মা পাড়ের মানুষের ঘরে বইছে উৎসব। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা চৌকি। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
পদ্মা পাড়ের চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে আত্মীয়-স্বজনেরা বেড়াতে অনেকে দুই দিন আগেই চলে এসেছেন। এই এলাকার গ্রামের মানুষের মধ্যে বইছে আনন্দ-উদ্দীপনা।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনের দিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে পদ্মার পাড়ে। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে পদ্মার পাড়।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি গোয়েন্দা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুরুত্ব দিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে। সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই মধ্যে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
এমআর