শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে লঞ্চ-স্পিডবোট শ্রমিকদের

তানভীর আহমেদ
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে লঞ্চ-স্পিডবোট শ্রমিকদের
ছবি: ঢাকা মেইল

সুমন শেখ। ২০ বছর ধরে পদ্মার বুক চিরে স্পিডবোট চালান মাওয়া-কেওড়াকান্দি-মাঝিরঘাট নৌ-রুটে। সুমনের দুশ্চিন্তা- পদ্মা সেতু চালুর পর যদি স্পিডবোট বন্ধ হয়ে যায়, তবে সংসার চালাবেন কিভাবে। এমন হলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে তাকে।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নিজের এই দুশ্চিন্তার কথা জানাচ্ছিলেন স্পিডবোটচালক সুমন। শুধু সুমনই নন, পদ্মা সেতু চালুর পর নদী পারাপারে নৌপথে যাত্রী না থাকার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের কাওড়াকান্দি নৌ-রুটের লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোটচালক ও মালিক শ্রমিকসহ ঘাট সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন


শিমুলিয়া ঘাটের সুমনের মতো অধিকাংশ স্পিডবোটচালক তাদের শঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার এই নৌ-পথ পদ্মা সেতু চালুর পরে জনশূন্য হয়ে পড়বে। ঘাট চালু থাকলেও কমে যাবে গুরুত্ব। টান পড়বে রুটি-রুজিতে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দেশের সব মানুষ উপকার পেলেও যারা এতদিন নদীপথে মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন, পার করেছে যাত্রী-মালামালসহ সবকিছু দিনদিন তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। তাদের দাবি- এই এলাকায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ দিতে হবে।

করিম উদ্দিন নামে অপর এক স্পিডবোটচালক বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ঘাট থেকে কী হবে। অনেকেই সচরাচর এখানে আসবে না। তখন আমাদের স্পিডবোট চলবে কি না জানি না। সবাই বলছে- পদ্মায় নদীশাসনের জন্য সব স্পিডবোট বন্ধ হয়ে যাবে, আবার কেউ বলছে থাকবে। এসব চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।

এ ব্যাপারে ঘাটের স্পিডবোটের ইজারাদারের প্রতিনিধি আল আমিন বলেন, সেতু চালু হলে এই ঘাট আর সেভাবে চলবে না, শুধু সেটাই জানি। সবাইকে সংসার চালানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ অন্য রুটে যাবে। এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি আমরা।


বিজ্ঞাপন


পদ্মার নৌ-পথের পেশাজীবী এসব মানুষ বলছেন, পানি আর নদীর সঙ্গে আবহমানকাল থেকেই আত্মিক সম্পর্ক তাদের। ফলে ঘাট বন্ধ হলেও দ্রুত পেশা পরিবর্তন সম্ভব নয়। চালু থাকলেও লোকসান দিয়ে তাদের পেশা ধরে রাখতে হবে বাধ্য হয়েই। সরকারের সে জন্য তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। এছাড়া ঘাটগুলোরই বা পরিণতি কী হবে, সেটাও পরিষ্কার করা দরকার।

টিএ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর