মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, বাইরে থেকে অনেক কিছু শুনেছেন-জেনেছেন, ওনার দৃঢ় প্রত্যয় এবং সংকল্পের কথা। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছি। এই সেতুর মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী জাতিকে করেছেন একতাবদ্ধ ও আত্মমর্যাদার অধিকারী।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই দেশ ও জাতি গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করব। সেতু নির্মাণে পদ্মা নদীর দুই পাড়ের মানুষের সহযোগিতা ছিল অকল্পনীয়। দুই পাড়ের মানুষই বলেছে বাপ-দাদার ভিটা দিয়ে গর্ব অনুভব করছি। আমি ভিটামাটি হারাচ্ছি কিন্তু আমাদের ভিটার ওপর পদ্মা সেতু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১১টা বছর আমরা দেখেছি। কী দৃঢ় প্রত্যয়, সংকল্প, দূরদর্শিতা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। তিনি না হলে এ ব্রিজ করতে ২০ বছর লাগতো, ১৫ বিলিয়ন ডলার লাগতো। এই ব্যয়ের মধ্যে আমাদের মর্যাদা উন্নত রেখে আমরা যে প্রকল্পটি শেষ করতে পেরেছি, এর প্রধান ও একমাত্র কারিগর হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, আমি দু-পাড়ের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর তারা আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছেন, সেটা কল্পনার অতীত। আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা, অনেক প্রকল্পে চাকরি করেছি, কিন্তু পদ্মা সেতুতে সাধারণ মানুষ আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে যে সহায়তা করেছে, এটা অকল্পনীয়।
তিনি আরও বলেন, এই সেতুটি ১০০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে তৈরি হয়েছে। সেতু বিভাগ এটা যেভাবে মেইনটেইন করবে, আমাদের সবাইকে এরসঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে এটাকে ১০০ বছর টেকাতে কোনো অসুবিধা হবে না।
বিজ্ঞাপন
ডিএইচডি/এএস



































































































































































































































































































