বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুতে কথিত দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ যখন ওঠে তখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তখন এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এজন্য এই সেতুর ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বপ্নের এই সেতুর প্রতি তাঁর আবেগ একটু বেশি। আর সেটাই দেখা গেল বুধবার (২৬ এপ্রিল)।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। সেখান থেকে ফেরার পথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে পদ্মা সেতুতে নেমে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পদ্মা সেতুতে নেমে ছবি তোলা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি কথা বলেছেন সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণে কত যে ষড়যন্ত্র ছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেখ হাসিনা সেই সমস্ত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে তাঁর সততা, কর্মনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের কারণে সেদিন এই সেতু নির্মাণে সার্থক হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার পথে আজকের এই পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে অতি অল্প সময়ে জন্য পদ্মার এই মোহনীয় রূপে অবগাহন করছি আর ভাবছি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই পদ্মা সেতুর কারণে আজ বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি আত্মনির্ভর ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এটা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সততার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আজকে এখানে দাঁড়িয়ে তাই মনে করলাম-একটু দাঁড়াই, একটু দেখি। এই অর্জন, এই আত্মনির্ভরতার প্রতীক, এই অহংকার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে না দেখলে উপলব্ধি করা মুশকিল।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জাতির প্রত্যাশা পূরণ করেছেন এবং বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন - যা সত্যিই ঈর্ষণীয়।
জেবি