শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করেছে পদ্মা সেতু: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ১০:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করেছে পদ্মা সেতু: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুফলই নয়, প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।

গত ২৫ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দিয়ে খুলে যায় দখিনা দুয়ার। 

সেদিন মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এর পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামটি।

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির সুযোগই ছিল না। যেমন নির্দেশনা দিয়েছিলাম সে অনুসারে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে আবারও ক্ষমতায় এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। সর্বশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। এই সেতুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।

অধিবেশনে বন্যাদুর্গত সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসে ভাদ্র মাসের দিকে। সরকার সেই বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই বন্যাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব। পদ্মা সেতু এই বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসন কাজও চলছে।

সংসদের বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অধিবেশনে বিরোধী দলকে যথেষ্ঠ সুযোগ দিয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতারা যথেষ্ট বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ইচ্ছামতো তারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। আর আমাদের যারা অফিসিয়াল বিরোধীদল তারাও আলোচনা করেছেন।

অধিবেশনে ২২৮ জন সংসদ সদস্য বাজটে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মনিটি আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাসহ সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

টিএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর