বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আগামী বাংলাদেশের আইকন পদ্মা সেতু: আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২, ১১:১৫ এএম

শেয়ার করুন:

আগামী বাংলাদেশের আইকন পদ্মা সেতু: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

আইফেল টাওয়ার যেমন ফ্রান্সের, স্ট্যাচু অব লিবার্টি যেমন নিউইয়র্কের প্রতীক, তেমনি আগামী বাংলাদেশের আইকন পদ্মা সেতু বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছে একথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


পদ্মা সেতু বাংলাদেশের নবযাত্রার প্রতীক জানিয়ে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু জাতিগতভাবে আমাদের আত্মবিশ্বাসকে বৃদ্ধি করবে। এছাড়া পদ্মা সেতু জাতিগত ঐক্য এবং দেশ প্রেমকে সমন্বিত করবে। আমাদের জাতিসত্তার অহংকারের জায়গাকে সুদৃঢ় করবে। 

পরে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারপ্রধান। বক্তৃতা রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সুধী সমাবেশে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত আছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে রওনা হন সরকারপ্রধান ও তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে আছেন।


বিজ্ঞাপন


দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী, সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন। ১১টা ১০ মিনিটে টোলপ্লাজার উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টোল দিয়ে ১১টা ১৫ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেবেন।

১১টা ২৩ মিনিটে সড়ক পথে জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি ১১টা ৪৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এবং আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা।

উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একই সঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতুর কাঠামো। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। 

ডিএইচডি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর