স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সেতু ভবিষ্যতে বড় কাজে উৎসাহ দেবে।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
বিজ্ঞাপন
সেনাপ্রধান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, পদ্মা সেতু ভবিষ্যতে আরও বড় বড় কাজ করতে উৎসাহ দেবে।
শফিউদ্দিন বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে সত্যিই আজকে গর্বিত। এমন একটা অর্জন সশরীরে দেখে যেতে পারলাম। এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত বলে মনে করি।
মহা আড়ম্বরে উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই পদ্মার দুই পারে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। সুধী সমাবেশে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকাল ১০টার কিছু আগে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে থেকে হেলিকপ্টার যোগে মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গাড়ি যোগে পদ্মা সেতুতে ওঠেন সরকারপ্রধান। পদ্মা সেতুতে উঠে ১৪ মিনিট দাঁড়ান তিনি। এ সময় সেখানে সেনা ও বিমান বিমান বাহিনীর কসরত দেখেন তিনি। এরপর জাজিরার উদ্দেশে রওনা হন।
দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেন দলটির সভাপতি।
ডিএইচডি/জেবি