মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আলোয় ঝলমলে পুরো পদ্মা সেতু

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২, ০৮:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

আলোয় ঝলমলে পুরো পদ্মা সেতু

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ঝলমল করে জ্বলে উঠল আলো। মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে বাতি জ্বালানো হয়। এই প্রথম পুরো সেতুর সবকটি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বলল।

এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সব কটি বাতি জ্বালানো হয়। তখন সেতুতে জেনারেটরের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। গতকাল সোমবার মাওয়া প্রান্তে বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে ২০৭টি বাতি জালানো হয়।


বিজ্ঞাপন


পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেইলকে বলেন, মুন্সীগঞ্জ ও জাজিরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম সম্পূর্ণ সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে।

প্রকৌশলী বলেন, সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে দিবা-রাত্রি যানবাহন চলাচলের জন্য সবটুকু কাজ শেষ হয়েছে।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় ১৮ এপ্রিল। ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিলারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হলো।

padma2


বিজ্ঞাপন


সরকার ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুতে যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোল হার প্রকাশ করেছে। টোল আদায়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এবং চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (এমবিইসি)। এর মধ্যে এমবিইসি মূল সেতু নির্মাণের ঠিকাদার। আর কেইসি পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের তদারকে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চুক্তি করার সময় টোল আদায়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর