দেশি-বিদেশি অনেক চাপের মধ্যেই শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। চলতি মাসেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের সেতুটি। সেতু নির্মাণে এমন চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ায় আনন্দে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বুধবার (১ জুন) আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে এমন আনন্দ ফুটে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জনগণ পাশে থাকায় এবং তাদের আশীর্বাদে এটা সম্ভব হয়েছে।’
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধানের অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা কাজটা করতে পেরেছি। এটা নিয়ে আনন্দে আপ্লুত ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অনেক বড় অর্জনগুলোর পদ্মা সেতু অন্যতম।’
করোনার কারণে দুই বছরেরও বেশি সময় পর সশরীরের একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এদিকে নদীর নামেই নামকরণ করা ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়েছে ২৫ জুন। বর্ণিল আয়োজনে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে পদ্মার এবারে-ওপারে প্রস্তুতি। সেতু দিয়ে যান চলাচলের টোলও চূড়ান্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
বিজ্ঞাপন
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের ভেতরে-বাইরে অনেক চাপ ছিল। জনগণ পাশে ছিল ও তাদের আশীর্বাদ ছিল বলেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সহকর্মীদের কাছে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে তা খোলামেলা শেয়ার করেন।
এম এ মান্নান বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প শেষ পযর্ন্ত বাস্তবায়ন হয়ে গেল। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা স্ট্রাগল ও চাপ নিয়ে একনেক সভায় খোলামেলা শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণ পাশে ছিল, জনগণের আশীর্বাদ ছিল বলেই পদ্মা সেতু। দেশের ভেতরে বাইরে অনেক প্রতিকূলতা ছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা কাজটা করতে পেরেছি। এটা নিয়ে আনন্দে আপ্লুত ছিলেন তিনি।’
বকেয়া বিল না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলে তা সবাইকে পরিশোধ করতে হবে। পাওনা না দিলে বিদ্যুৎ কেটে দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিল সরকারি-বেসরকারি সবাইকে দিতে হবে। সবাইকে অবশ্যই বিল পরিশোধ করতে হবে।’
প্রতিটি স্থলবন্দর আপগ্রেড করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আধুনিক স্থাপনা ও সিস্টেম বসাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামীণ সড়কের টেকসই উন্নয়নে নানা দিকে নজর দিতে হবে। নতুন সড়ক নির্মাণ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
বুধবারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠকে প্রায় ২ হাজার ৬৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠকে পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন।
বিইউ/ডব্লিউএইচ/এমআর



































































































































































































































































































