পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে অনুমতির ক্ষেত্রে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো মানলে ঈদুল ফিতরের পরও বাইক চলাচল করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।
বুধবার (১৯) বেলা ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এর পরদিন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্বপ্নের সেতুটি।
সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে অন্তত ৪৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ২৭ হাজার। ওইদিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতুটি দিয়ে বাইক চলাচলের জন্য বাইকারদের বিভিন্ন সংগঠন অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও অনুমতি পাচ্ছিল না। অবশেষে ঈদের আগে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকে সেতুতে বাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এজন্য বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
শর্তগুলো হলো- নির্ধারিত টোল দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে হবে। মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত টোল বুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত লেন পরিবর্তন করা যাবে না, সেতুতে ওভারটেকও করা যাবে না, চালক ও আরোহীকে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সেতুর ওপর দাঁড়ানো বা ছবি তোলা যাবে না। চালকসহ সর্বোচ্চ দুজন মোটরসাইকেলে চড়তে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
এসব শর্ত মেনে না চললে পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের সুযোগ বাতিল করা হবে বলে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা পরিদর্শন শেষে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, সেতুতে বাইক চলাচলে অনুমতির ক্ষেত্রে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো মানলে ঈদুল ফিতরের পরও বাইক চলাচল করতে দেওয়া হবে।
মনজুর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে অন্যান্য যানবাহনের মতো বাইকেরও গতি ৬০ কিলোমিটার রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছে। চালকেরা এ শর্ত মেনে চললে ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
এমআর