বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পদ্মা সেতুর বিশেষত্ব জানুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২২, ০৩:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

পদ্মা সেতুর বিশেষত্ব জানুন

আর মাত্র ২১ দিন বাকি। আগামী ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু হতে যাচ্ছে এটি। একই সঙ্গে দেশের প্রথম দ্বিতল সেতু হবে পদ্মা। এই সেতুর নিয়ে কেন এত আলোচনা? কী এর বিশেষত্ব? 

নিউইয়র্কসহ পৃথিবীর নানা দেশেই দ্বিতল সেতু আছে। তবে এসব সেতুতে কেবল মোটরযান বা গাড়ি চলার ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতুর অনন্য যে বৈশিষ্ট্যটি রয়েছে তা হলো, এই সেতুর নিচের অংশে ট্রেন চলবে। আর উপরের পথে চলবে বাস-ট্রাক-গাড়ি। 


বিজ্ঞাপন


padmaঅনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কেন এই সেতুর ওপরের পথে বাস-ট্রাক আর নিচের পথে ট্রেন চলবে? জানা গেছে, প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্যই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেতুর নিচের অংশে রেললাইন নির্মাণ হলে খরচ কম হয়। এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন নিচের নদী দিয়ে লঞ্চ, নৌকা চলাচলে কোনো সমস্যা না হয়।  

পদ্মায় প্রচণ্ড বেগে পানি প্রবাহিত হয়। এই পানি প্রবাহে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় সেই মাপ অনুযায়ী পিলার স্থাপন করা হয়েছে। দুইটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব রাখা হয়েছে প্রায় ১৫০ মিটার। 

padmaবিশেষজ্ঞদের মতে, সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে যেন সমস্যা না হয়, সেই হিসাব অনুযায়ী ঢাল তৈরি করতে হয়। সেতুতে যান চলাচলের সুবিধার্থে অনেকখানি দূর থেকেই ‘অ্যাপ্রোচ রোড’ করা হয়। সেখান থেকে রেলপথের জন্য নির্দিষ্ট মাপ আছে। এটি বেশি উঁচু হলে ট্রেন চলাচলে সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে নির্মাণ ব্যয়ও। তাই পদ্মা সেতুতে ‘অ্যাপ্রোচ রোড’ এমনভাবে করা হয়েছে যেন সেতুর নিচের পথ দিয়ে ট্রেন চলতে কোনো সমস্যা না হয়। 

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আপাতত এর সড়কপথ খুলে দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৪ নাগাদ এই সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হচ্ছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটতে যাচ্ছে। 


বিজ্ঞাপন


padmaকেবল দেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। কিন্তু পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু করলে মাত্র ৪ ঘণ্টা লাগবে এই পথ পাড়ি দিতে। ভ্রমণ থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে যা শুভ পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

এছাড়াও পদ্মা সেতুকে ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটিকে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বেয়ারিং’। এত বেশি সক্ষমতা সম্পন্ন বিয়ারিং এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো সেতুতে ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও পদ্মা সেতু টিকে থাকতে পারবে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর