মাওয়া-জাজিরার দুই পাড়ে পদ্মা সেতুর সংযোগ হলেও এটি যেন সারাদেশের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করেছে। কারণ স্বপ্নের এই সেতুর উদ্বোধন ঘিরে পদ্মা পাড়ে এসেছেন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলার মানুষ। কেউ এসেছেন বাসযোগে, কেউ আবার লঞ্চযোগে।
অনেকে আবার ব্যক্তিগত বাহন নিয়েও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছুটে এসেছেন প্রমত্তা পদ্মার পাড়ে।
বিজ্ঞাপন
তবে বরিশাল বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেশিরভাগই এসেছেন লঞ্চযোগে।
শনিবার সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সেতুর ওপর দিয়ে মাদারীপুরের বিশাল জনসভায় যোগ দেবেন।
সেতুর উদ্বোধনের আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই অনেকে উপস্থিতি হন জাজিরা প্রান্তের সমাবেশস্থলে। কেউবা বাসে আরও কেউ লঞ্চ ও নৌকায় চড়ে এসেছেন সমাবেশে যোগ দিতে। যারা গতকাল আসতে পারেননি তারা শনিবার ভোরে রওনা দিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
পদ্মায় পৌঁছে নদীতে বিলাসবহুল লঞ্চগুলো নোঙর করে নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন জনসভাস্থলে।
বিজ্ঞাপন
একযোগে শতাধিক বড় বড় লঞ্চ পদ্মা পাড়ি দেওয়ায় মানুষের মধ্যে বাড়তি উম্মাদনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে বিশাল আকৃতির লঞ্চ দেখে চোখ জুড়াচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট জেলার নেতারা বলছেন, পটুয়াখালী থেকে আটটি তিনতলা বিশিষ্ট লঞ্চে করে যোগ দিয়েছেন।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি করেছেন তারা দশটি লঞ্চে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর থেকেও লঞ্চযোগে জাজিরা পয়েন্টে এসেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিইউ/এমআর