স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার ওপর সেতু হবে এমন বিশ্বাস অনেকের ছিল না। কিন্তু অসম্ভব কাজটি যখন সম্ভব হয়েছে তখন মানুষের মনে আনন্দ দোলা দিয়েছে। তাই জনসাধারণের জন্য দেশের দীর্ঘতম সেতুটি খুলে দেওয়ার দিনেই ছোট মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সেতু দেখতে এসেছেন আব্দুস সালাম। সেতু দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
কেরাণীগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস সালামের সঙ্গে সেতুর শিবচর পয়েন্টে কথা হয় ঢাকা মেইলের প্রতিবেদকের। বাস্তবের পদ্মা সেতু নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে চোখ ছলছল করছিল তার। একপর্যায়ে চোখের কোণা বেয়ে কিছুটা পানিও বেরিয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন
আবেআপ্লুত আব্দুস সালাম বলেন, ‘আসলেই এটা স্বপ্নের সেতু। আলহামদুলিল্লাহ।’ এ কথা বলার পর যেন তার কণ্ঠ আটকে যাচ্ছিল।

দেলোয়ার আরও বলেন, ‘এটা একটা অকল্পনীয় কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আসলেই অসম্ভব ছিল। আল্লাহর রহমতে কোনো বিপদ ছাড়া এটা শেষ করা গেছে। তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার স্ত্রীও স্বামীর সঙ্গে একইসুরে বলছিলেন, ‘কখনো ভুলেও ভাবতে পারি নাই এখানে ব্রিজ হইবে। মেয়েকে নিয়ে আসছি যাতে ও বলতে পারে আমাদের এত বড় ব্রিজ আছে।’
বিজ্ঞাপন
শুধু দেলোয়ারই নন, যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তের প্রথমদিন যারা পরিবার নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছেন তাদের সবারই অনুভূতি একই রকম। সবার মুখে একই সুর, বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসের কারণেই এই সেতু বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
শিবচর প্রান্তে হকারের কাজ করা সত্তোরোর্ধ্ব জিতেন সরকার ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়ে গেছে, তার মেয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে গেল। এই সেতু সবার উপকারে কাজে আসবে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।’

মাদারীপুরের আবুল হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা তার তিন বান্ধবীকে নিয়ে পদ্মা সেতু ঘুরতে এসেছেন। নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃপ্তির হাসি যেন থামছিল না।
ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা এত খুশি যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। চোখের সামনে সব কেমন যেন বদলে গেছে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে।’
বিইউ/এমআর



































































































































































































































































































