সব প্রতীক্ষার অবসান ঘুচিয়ে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে থ্রি হুইলার ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়। বহু প্রতিক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ভোর থেকেই সেতুর দুই প্রান্তে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক, ভাড়া করা গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলার (২১ জেলা) সঙ্গে যোগাযোগের এ সেতুর টোল প্লাজাগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাপ। আর সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই দুই প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
রাজধানী থেকে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে এসেছেন আবুল হোসেন। তিনি বলেন, আজ পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হয়েছে। তাই সেতু দিয়ে ওপারে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবার ফিরে আসবো। এ সেতুতো আমাদের আবেগের স্থাপনা। স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় এই অর্জন নিজের চোখে উপভোগ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা কঠিন।
বিজ্ঞাপন
দুই পারে গাড়ির দীর্ঘ সারির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যানজটে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে এটাও উপভোগ করছেন সবাই। ভিড় হচ্ছে জেনেও সবাই আসছেন, ইতিহাসের সাক্ষী হতেই কিছুটা বিড়ম্বনা হলেও তা মেনেই আসছে অনেকেই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে টোল দিয়ে প্রথম পদ্মা সেতু পার হন। সেতুতে টোলের হার ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে।
ছোট বাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
কার ও জিপের টোল দিতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা। মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে টোল দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা।
পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ পরিবহনের বাস ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকার সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে।
/এএস