স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় হাজারের বেশি বার কোরআন খতম করেছেন দক্ষিণবঙ্গের আলেমরা। তারা এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া করেছেন এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
শনিবার (২৫ জুন) দক্ষিণবঙ্গের গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, পিরোজপুর, বরিশালের পাঁচ সহস্রাধিক আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, ইমাম-খতিব, মাদরাসার মুহতামিম ও তালেবুল ইলমসহ ধর্মপ্রিয় মানুষ গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় জমায়েত হন। এ সময় তারা কোরআন খতম এবং বিশেষ দোয়া করেন।
বিজ্ঞাপন
জমায়েতে হজরত শামছুল হক ফরিদপুরী (ছদর সাহেব) রহ.-এর পৌত্র মুফতি উসামা আমিন বলেন, প্রচলিত দোয়া করার মধ্যে কৃত্রিমতা থাকতে পারে, কিন্তু যে দোয়া অন্তর থেকে আসে সে দোয়ায কোনো কৃত্রিমতা নেই। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু স্থাপন করে দেশের মানুষের বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষ দোয়ার মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে।’
দোয়া অনুষ্ঠানে মুফতি উসামা আমিন আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সাহসী সিদ্ধান্তের ফসল আজকের পদ্মা সেতু। তিনি যখন সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পরাশক্তিকে উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ঘোষণা দিয়েছিলেন, দেশের জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সহযোগিতা করেছে। পদ্মা সেতু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে তেমনি দেশের সক্ষমতার প্রমাণ করেছে। পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়ন ও মর্যাদার প্রতীক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে মুফতি উসামা আমিন বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য দেশের আলেম-উলামাদের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। পদ্মা সেতু ঘোষণার শুরুলগ্ন থেকেই আলেম-উলামাদের দোয়া, ভোররাতের চোখের পানি ও সহযোগিতা ছিল। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া বহু বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলো।’
জেবি