বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলে আরেক দফা অগ্রগতি হলো। সম্পন্ন হয়েছে রেলপথ নির্মাণকাজ।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের সব কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা জানান, চীন থেকে মঙ্গলবার আকাশপথে বাংলাদেশে আসে শেষ স্লিপারটি। রাতে শুরু হয় স্লিপারটির বসানোর কাজ। নিখুঁতভাবে মাপজোক শেষে স্থাপন করা হয় সেতুর ওপর। তাপমাত্রা কমে এলে শুরু হয় স্লিপারটির ওপর ঢালাই।
পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের পরিদর্শন প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, আজ সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হচ্ছে। আমরা যারা এ নির্মাণযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তারা উৎফুল্ল, আনন্দিত। আমাদের হাতের ছোঁয়ায় দেশের একটি বড় অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। এটা গর্বের, গৌরবের।
এই কর্মকর্তা জানান, আগামী সপ্তাহে তিনটি কোচের একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে সেতুতে চালানো হবে।
এদিকে আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলে কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন

এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল। পুরো প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরদিন থেকে সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। শুরুর দিন থেকে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল করবে বলা হলেও তা প্রায় এক বছর পিছিয়ে যায়।
জেবি



































































































































































































































































































