স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে গত শনিবার। পরদিন সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে যানবাহন চলাচলের জন্য। এর মধ্যে প্রথম ছুটির দিন পড়েছে আজ শুক্রবার (১ জুলাই)। এজন্য এদিন বহুল কাঙ্ক্ষিত এই সেতু দেখতে মানুষের ঢল নামে।
বিকেলে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু দেখতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী লোকজন সেতু দেখতে আসেন। কেউ এসেছেন গাড়ি নিয়ে, কেউ ভ্যান, অটোরিকশায়, কেউ বা বাইকে। অনেকেই আবার এসেছেন পায়ে হেঁটে। উৎসুক এসব মানুষ পদ্মা সেতুর সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখছেন।
বিজ্ঞাপন
খাগড়াছড়ি থেকে আসা অংথুইপ্রু ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
পদ্মা সেতু দেখতে আসা মিলন ঢাকা মেইরকে বলেন, ছুটির দিন আমি পরিবার নিয়ে শিবচর থেকে এসেছি পদ্মা সেতু দেখতে। আমার স্বপ্ন ছিল, স্বপ্ন পূরণ হলো। বলে বোঝানো যাবে না কতটা ভালো লাগছে।
মাদারীপুরের তানহা ইসলাম, যশোরের ইমরান, ঢাকার ফাহাদ, আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছুটির দিন এজন্য তারা পদ্মা সেতু দেখতে এসছেন। সেতুটি দেখে তাদের মন জুড়িয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
শরীয়তপুরের বাসিন্দা সালাউদ্দিন মুন্না ঢাকা মেইলকে বলেন, বাড়ির কাছে সেতু। তাই দেখতে এলাম। জাজিরা প্রান্তে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি। সেতুতেতো আর উঠতে দেবে না, তাই মোটরসাইকেল রেখে বাসে করে সেতুর ওপরে যাবো ভাবছি।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু গত ২৫ জুন (শনিবার) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন ভোর ছয়টা থেকে যানবাহনের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াত সহজ করে দেওয়া এই সেতুটি দেখতে শুরুতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।
প্রথম দিন মোটরসাইকেল আরোহীদের ঢল নামে। সেতুতে নামা বারণ থাকলেও অনেকেই তা মানেননি। এদিন পদ্মা সেতু ঘিরে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনাও ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী দুজনের মৃত্যুও হয়। পরে সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল চলাচল।
তবে সেতুটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। প্রতিদিনই সেতুটি দেখার জন্য দেশের নানা এলাকা থেকে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পদ্মার দুই পারেই এখন উৎসবের আমেজ। সেতু ঘিরে পদ্মার পার এখন পর্যটন নগরীতে পরিণত হয়েছে।
প্রতিনিধি/জেবি