শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

তিল ধারণের ঠাঁই নেই বাস-লঞ্চ-নৌকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২, ০৯:০৪ এএম

শেয়ার করুন:

তিল ধারণের ঠাঁই নেই বাস-লঞ্চ-নৌকায়
ছবি: সংগৃহীত

বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আজ! দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। যার হাতে ভিত্তিপ্রস্তর, তার হাতেই উদ্বোধন হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পদ্মা সেতু, স্বপ্নের সেতু। 

এদিকে মাদরীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হচ্ছে জনসভাস্থলের সভামঞ্চ। শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই অবসান ঘটবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। উদ্বোধন হবে পুরো জাতির স্বপ্নের সেতু। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের মধ্যে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। সেতু উদ্বোধনের দিন দুপুরের দিকের সমাবেশেযোগ দিতে ভোর থেকেই হাজারো মানুষ ভিড় করছেন সমাবেশ এলাকায়। মিছিল নিয়ে দলে দলে মানুষ যোগ দিচ্ছেন সমাবেশস্থলে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পদ্মার পাড়। পরিবারসহ এসেছেন অনেকে। সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ঘিরে জনসভায় আসতে শুরু করেছে পদ্মা পাড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন। জনস্রোতে পরিণত হচ্ছে পদ্মার পাড়। এদিন ভোর থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের অংশ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের স্রোত জনসভাস্থলের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। লাল-সবুজ টি-শার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে পায়ে হেঁটে বা পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও বাসে বিভিন্ন সড়ক ধরে যেভাবে পারছেন, ঘাটের দিকে আসছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। লঞ্চ কিংবা নৌকায়ও ঠাঁই নেই তিল ধারণের। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ ‘পদ্মা সেতু’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দিনকে বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো। বিপুল সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রসর এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। টুঙ্গীপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, সুন্দরবন এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাবে। নদী বিধৌত উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং দেশব্যাপী দ্রুত বাজারজাতকরণে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর