শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সারাদেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব চান প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২, ০২:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

সারাদেশে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব চান প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব শুধু পদ্মার পাড়ে সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশে করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব শুধু পদ্মা পাড়ে হবে না, সারা বাংলাদেশে উৎসবটা করবেন। আমি চাচ্ছি বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় উৎসব হোক। কারণ এটা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে পল্লী জনপদ রংপুর এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রংপুর ও কোটালীপাড়া প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে গোপালগঞ্জ প্রান্তে আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মশিউর রহমান, বাপার্ড পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শেখ কবির হোসেন।

padma-2পদ্মা সেতু চালুর পর নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। সবাইকে অনুরোধ করব সবাই একটু ধৈর্য ধরে চলবেন। গাড়ি নিয়ে কেউ প্রতিযোগিতা করবেন না। কে আগে গেল পরে গেল এসব করবেন না। অর্থাৎ কোনো রকম দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাই চলাচল করবেন।’

পল্লী জনপদ গড়ার উপকারিতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ে গেছে, যে দক্ষিণাঞ্চল সারাজীবন অবহেলিত তা আর অবহেলিত থাকবে না। কারণ, এই যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা জায়গায় যদি হয় তাহলে সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিই উন্নত হয়, সেটা হলো বাস্তবতা।'

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, 'বিশ্বের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী আমাজন। তারপর পদ্মা। এই পদ্মাতে আমরা যে একটা সেতু করতে পারি এটা অনেকেরই ধারণা ছিল না। তার ওপর এই সেতুটা হচ্ছে দ্বিতল সেতু। নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে ওপর দিয়ে গাড়ি যাবে। এটাও একটা কঠিন কাজ। পৃথিবীতে এই ধরনের কাজ বোধহয় এটাই প্রথম। এখানে যে সমস্ত মেশিনারিজ ব্যবহার করা হয়, এটা বোধহয় আর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এর ওপর যে বাধাটা ছিল সেটাও আপনারা জানেন। এই সেতু করতে যেয়ে আমাদের ওপর একটা মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, যেটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। আমরা এখানে দুর্নীতি করতে বসিনি। নিজের ভাগ্য গড়তে বসিনি। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। দেশের উন্নয়ন করতে এসেছি।'


বিজ্ঞাপন


padma-3

'সেখানে আমাদের দেশেরই একজন, যে আমার কাছ থেকে সবথেকে বেশি সুযোগ পেয়েছে। সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা যে আমার কাছ থেকে নিয়েছে তারই বেইমানির কারণে এই পদ্মা সেতুর টাকাটা বন্ধ হয়ে যায়', বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, 'আমি যখন ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করব, দেশের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তারা পাশে দাঁড়িয়েছিল। বলেছিল, যা যা আছে আমরা দেব, নিজের টাকায় করব। অনেকে আমাকে চেকও পাঠিয়েছে। যদিও আমি ভাঙিনি। সেগুলো রেখে দিয়েছি। এভাবে মানুষের যে অভূতপূর্ব সাড়া, এটাই আমাকে সাহস জুগিয়েছিল। এটাই আমাকে শক্তি জুগিয়েছিল। কারণ মানুষের শক্তিতেই আমি বিশ্বাস করি এবং আজকে সেই পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করতে পেরেছি।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর