দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১জেলার মানুষের জীবনে গতি এনেছে পদ্মা সেতু। ফেরি ঘাটে অপেক্ষার যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেয়েছেন যাত্রীরা। কিন্তু সেতু চালুর কয়েকদিন পর থেকে অদ্যাবদি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় কষ্টে আছেন মোটরসাইকেলের মালিকরা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সহসাই পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলছে না।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’- এ সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপের উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে প্রথমে আমাদের কোনো নিষেধ ছিল না। কিন্তু এমনভাবে ছুটে সবাই। সেখানে একটা সমস্যা হয়েছে। যে সমস্যার জন্য পদ্মা সেতুই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বাস্তবতাটি সবার মেনে নেওয়া উচিৎ। এছাড়া কিছুদিন পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে নতুন বাস্তবতা দেখা যাবে। তখন এ পথে আরও দ্রুতবেগে গাড়ি চলবে এবং এখানে একটি অংশ কালনার কাছে গিয়ে থেমে যায়, ওই অংশতে আরও দ্রুতবেগে আসা-যাওয়া করবে। তখন বাস্তবতাসহ সবকিছু মিলিয়ে পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করবো।
তিনি জানান, কালনা সেতুর নির্মাণকাজ এ মাসেই শেষ হবে। অক্টোবরের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী যখন সময় দেবেন এটি উদ্বোধন করা হবে।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরদিন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হয়। যান চলাচলের প্রথম দিনেই ঘটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে দুজন মারাও গেছেন। এর পরেই পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ২৭ জুন সোমবার ভোর ৬টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা চালু হয়েছে। যা এখনো চলছে।
বিজ্ঞাপন
যদিও বলা হয়েছিল পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসিটিভি স্থাপনের পরই মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেবে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত অনুমতির কোনো লক্ষণ নেই।
বিইউ/একেবি
