সদ্য যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সরকারি বাসভবন গণবভন থেকে ভার্চুয়ালি একটি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন ৪৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
বিজ্ঞাপন
নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশেরই এক ব্যক্তির প্ররোচণায় বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরাও সরে দাঁড়ায়, তখন আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। তখন দেশের জনগণের পাশাপাশি আপনারাও অনেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে সবধরনের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
দেশের জনগণই তার ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সাহস এবং সহযোগিতা এবং তারা পাশে থাকাতে আমরা আমাদের নিজস্ব টাকায় এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অঞ্চল যেটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল সেখানে এখন শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থিক উন্নতি হবে। সেখানেও আপনাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করার একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।
সমগ্র বাংলাদেশেই সরকার ব্রিজ ও উন্নত সড়কব্যবস্থা গড়ে তুলে যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের পাশাপাশি নদীগুলো ড্রেজিং করে নৌপথ ও আমরা সচল করেছি। আমাদের পূববর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থা প্রায়ই বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা সেটা আবার নতুন করে চালুর পাশাপাশি নতুন নতুন রেল লাইনও করে দিচ্ছি। যার ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমরা আরও গতিশীল করার জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জানান, প্রথমবার সরকারের আসার পর তার সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ করেছিল যেখানে বিদ্যুৎ, রেল এবং গ্যাস সংযোগও প্রদান করা হয়। পদ্মা সেতুটাও সেভাবেই করা হয়েছে, মাল্টিপারপাস। সেখানেও গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল সংযোগের সঙ্গে অত্যাধুনিক ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে।
আজকের অনুষ্ঠানে ৪৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করে। সেগুলো হচ্ছে-সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, ইডকল, বিআইএফএফএল, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইষ্টার্ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোসাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।
জেবি



































































































































































































































































































