যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার ৭১১ জনকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রোববার মুন্সীগন্জের লৌহজং উপজেলায় ‘প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ’ কোর্সের সমাপনী ও যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৪০ % ইতোমধ্যে আত্মকর্মীতে পরিণত হয়েছে এবং বাকিরাও বিভিন্ন প্রজেক্ট গ্রহণ করছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে এবং তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহজ শর্তে ঋণ দেবে এবং প্রয়োজনে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে বিশ্বে আত্নমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মুন্সীগন্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ সর্বস্তরের জনগণকে এ সেতু বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ১.২৩ % জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্র্য হ্রাস পাবে ০.৮৪%। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এ অন্ঞলসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে। ইতোমধ্যে এসব জেলায় নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠছে। এ অঞ্চলে বিশ্বমানের অলিম্পিক ভিলেজসহ স্পোর্টস সিটি, বেনারসি তাঁতপল্লী, আইকন টাওয়ার, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। সেগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সবমিলিয়ে এটি বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ অঞ্চলে বিশ্বমানের অলিম্পিক ভিলেজসহ স্পোর্টস সিটি, বেনারসি তাঁতপল্লী, আইকন টাওয়ার, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।

বিজ্ঞাপন
যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ’ কোর্সের আওতায় দুই ধাপে চার হাজার ৭১১ জনকে ক্ষুদ্র ব্যবসা, মাছ চাষ, মোবাইল ও টিভি মেরামত, ফ্রিজ ও এসি মেরামত এবং ওয়েলডিং, ইলেকট্রিক ওয়ারিং/ইলেকট্রিশিয়ান, পাটজাত পণ্য উৎপাদন, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, ক্রাফট, স্কিন অ্যান্ড ব্লক বাটিক, গরু ছাগল পালন এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিষয়ক মোট ১২টি ট্রেডে আধুনিক ও সময়োপযোগী নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সনদপত্র ও প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে দৈনিক ৫০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণের মেয়াদ অনুযায়ী প্রদান করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগন্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) খোন্দকার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল হামিদ খান এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.রজব আলী।
ডিএইচডি/জেবি



































































































































































































































































































