মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২, ১০:৫৮ এএম

শেয়ার করুন:

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে শুরু হয়েছে। জমকালো আয়োজনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে যাওয়ার পর সমাবেশ যোগ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দেশি বিদেশি কয়েক হাজার আমন্ত্রিত অতিথি। বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এরপর বক্তব্য দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখন বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন


বক্তব্যের শুরুতেই পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা যে অভিযোগ উঠেছিল সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মিথ্যা অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের যে মানসিক যন্ত্রণা হয়েছিল সেই কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আবারও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা আমাকে বারবার সাহস দিয়েছেন। আমি বাবা, মা, ভাই- সব হারিয়ে এ দেশের মানুষের উপর ভরসা রেখেই পঁচাত্তরের পর যখন ছয় বছর রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল। বাংলাদেশ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল বলেই আমি দেশে ফিরে আসতে পেরেছিলাম। এসেছিলাম একটি লক্ষ্য নিয়ে। যে বাংলাদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে গেছেন, সেই বাংলাদেশ এভাবে অবহেলিত থাকতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে কীভাবে একটি পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সেই যন্ত্রণা ভোগ করেছে আমার বোন শেখ রেহানা, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, আমার উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই যন্ত্রণা ভোগ করেছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, সত্যের জয় হয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি যারা সেদিন আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। যারা এখানে বসবাস করতো তারা জমি ছেড়ে দিয়েছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। যদিও তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টোল প্লাজায় যাবেন। সেখানে তিনি টোল প্রদান করবেন।

টোল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক এবং ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ এ জনসভায় ১০ লাখ লোক জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছে। জনসভায় যোগদান শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।

ডব্লিউএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর