রাত পোহালেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের শিবচর বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানের সেতু উদ্বোধন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
শুক্রবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন পুলিশ প্রধান।
বিজ্ঞাপন
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় আলোড়ন তুলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অর্জন হয়েছে, এটি বিশ্বকে জানান দিচ্ছে এই অর্জনের মাধ্যমে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশব্যাপী একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল আমরা প্রত্যাশা করছি এখানে কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। তার বেশিও হতে পারে। এই অনুষ্ঠানটি সমগ্র দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা কমিটি এখানে কাজ করছেন। আমরা সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। জনসভাস্থলে যাওয়া আসার পথ কেমন হবে গাড়ি পার্কিং কেমন হবে এসব বিষয় আমরা ট্রাফিক পরামর্শ দিয়েছি। এই নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মানলে সবার জন্য জনসভাস্থলে আসা খুবই সুবিধা হবে। এছাড়াও রাস্তায় সাইন পোস্টিং দেওয়া আছে। যারা এখানে কখনো আসেননি তারাও খুব সহজে জনসভাস্থলে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে জনসভাস্থল পুলিশের কাছে কোনো হুমকি নেই বলে জানায় আইজিপি। বলেন, যদি কোন থ্রেট থাকে তা আমরা দেখব। আমাদের সঙ্গে সবার ক্রমাগত গোয়েন্দা সমন্বয় আছে। এ ছাড়াও ঐতিহাসিক এই জনসভা ঘিরে প্রতিটি স্থানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা সিকিউরিটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আলাদাভাবে কাজ করছে। জনসভা শেষ হওয়া না পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে দুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। যা প্রথমবারের মত আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে। এই বড় ওয়াচ টাওয়ার দুটি সম্প্রতি আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে। শারীরিকভাবে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করছি এবং প্রতি মুহূর্তে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সমন্বয় রয়েছে। আশা করছি, দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে আগামীকালের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারব।
বিজ্ঞাপন
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, জনসভাস্থলে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে। আমরা সম্প্রতি দেখতে পেয়েছি, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে যারা জনসভাস্থলে আসবেন করোনার কারণে যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো সবাইকে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লিমন রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এমআর/আইএইচ