শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করায় ‘শাপে বর’ হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৭:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করায় ‘শাপে বর’ হয়েছে

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় ‘শাপে বর’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কারণ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে আজকে আমাদের আত্মমর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের নিজের ওপরে বিশ্বাস সুদৃঢ় হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। চন্দ্রাবতী একাডেমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।


বিজ্ঞাপন


আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই কথা ‘আমাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’ সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। বাঙালিকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।

minister-2

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পদ্মা সেতু না করতাম বা আমাদের নিজেদের অর্থায়নে আজকে পদ্মা সেতু না করতাম তাহলে কিন্তু অন্যরকম হতো। হয়তো কোনো এক সময় পদ্মা সেতু হতো, দক্ষিণ বাংলার সঙ্গে যোগাযোগটা হতো কিন্তু আজকে যে মর্যাদা পেয়েছি সেটা কিন্তু পেতাম না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিল তখন অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন, এটা বোধ হয় আর হবে না। তবে সেই সেতু তৈরি সম্ভব হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংক মনে করেছিল, তাদের অর্থায়ন ছাড়া বাঙালিরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না। তারা পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার পর অনেকেই বলেছিলেন, এই সেতু করা যাবে না বা বাংলাদেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করাটা হাস্যকর হবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন দৃঢ়চিত্তে বলেছিলেন, আমাদের অর্থে আমরা পদ্মা সেতু করব। তার এই দৃঢ়চিত্ত মনোভাব বাঙালির মধ্যে নতুন করে স্পৃহা জাগায়।

minister-3

‘বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত করতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছিলাম, এটা আপনারা করতে পারবেন না। আমাদের আইন অনুযায়ী আমরা তদন্ত করব। পরে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে। কানাডার আদালতও পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি।’ বলেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শামসুল হক, বইয়ের প্রকাশক ও চন্দ্রাবতী একাডেমির স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান খন্দকার কাজল।

টিএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর