মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইতিহাসের সাক্ষী হতে বগুড়া থেকে এসে মেট্রোরেল চড়লেন আবুল খায়ের

খলিলুর রহমান
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশের মানুষের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন ছিল মেট্রোরেল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জনসাধারণের জন্য চালু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক যাত্রায় অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষ। ইতিহাসের সাক্ষী হতে বগুড়া থেকে ঢাকায় এসেছেন আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি। তিনি একা নয়, পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়েও মেট্রোরেল চড়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছেন।

আবুল খায়ের ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার বাড়ি দিনাজপুরে। আমি বগুড়া একটি মাদরাসায় চাকরি করি। কিন্তু মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য সেখান থেকে গত চার দিন আগে ঢাকায় আসি।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ঢাকার দিয়াবাড়ি এলাকায় আমার বোনের বাসা। এই সুবাধে নিয়মিত সেখানে আসা-যাওয়া করি। দীর্ঘ দিন থেকে মেট্রোরেলের কাজ চলছিল। সেই সময় অনেকবার বোনের বাসায় আসছিলাম। তখন বোন ও বোনের জামাই মিলে পরিকল্পনা করেছিলাম; যখন মেট্রোরেল চালু হবে তখন আমরাই প্রথম যাত্রী হবো। সেই পরিকল্পনা থেকেই গত চার দিন আগে আমি ঢাকায় আসি। 
 
বোনের বরাত দিয়ে আবুল খায়ের বলেন, বোনের সাথে নিয়মিত ফোনে কথা হয়। সে জানায় স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। কিন্তু উদ্বোধনের দিন মেট্রোরেলে সাধারণ মানুষকে উঠতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও উদ্বোধনের দুই দিন আগে দিয়াবাড়ি এলাকার বাসা-বাড়িগুলোতে লোক চলাচলে কিছু নিদের্শনা দিয়ে দিলো পুলিশ। এসব বিষয় চিন্তা করেই উদ্বোধনের চারদিন আগেই ঢাকা চলে আসি। আজ সকালে বোনের পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে আমি মেট্রোরেল চড়তে আসি।

a-khayer

তিনি জানান, প্রথমে দীর্ঘ লাইন ছিল। অনেক্ষণ অপেক্ষার পর টিকিট সংগ্রহ করি আমরা। এরপর স্টেশনে প্রবেশ করি এবং সবাই ছবি তুলি। ভিডিও করি। গ্রামের বাড়িতে যারা আছেন; তাদেরকে ছবি ও ভিডিওগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি।

অনুভূতির কথা জানতে চাইলে আবুল খায়ের বলেন, অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। শুধু এটাই বলব; আসলেই অসাধারণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর জন্য বিশাল বড় একটি উপহার দিয়েছেন। 
 
শুধু আবুল খায়েরই নন, তার মতো হাজারো মানুষ ইতিহাসের সাক্ষী হতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আগারগাঁও এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। মেট্রোরেলে চড়তে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়ান যাত্রীরা। কেউ পরিবারসহ ঘুরতে এসেছেন, আবার কেউ কেউ প্রথম যাত্রী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছেন মেট্রোরেলে চড়তে। মেট্রোরেলে উঠার পর অনেককেই বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


গাজীপুর থেকে আসা উত্তরা স্টেশনে আসা নাইমুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, শুধুমাত্র মেট্রোরেলে উঠতেই গাজীপুর থেকে এসেছি। এমন আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমাদের দেশে এমন প্রযুক্তি সম্পন্ন একটা মেট্রোরেল প্রবেশ করবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।

মোহাম্মদপুর থেকে আসা রকিব হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি শুধুমাত্র মেট্রোরেলে চড়ার জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের উপহার দিয়েছেন সেই উপহারের সাক্ষী হওয়ার জন্য আমি এখানে এসেছি।

কারওয়ান বাজার থেকে আসা তুহিন ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় সাক্ষী হওয়ার জন্যই আমি আসছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন প্রকল্পটি উদ্বোধন করলেন তখন আমার অনুভূতিটা অন্যরকম হয়েছিল। সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি টিকিট ক্রয় করব এবং প্রথম দিন ট্রেনটিতে যাত্রা করব। সে চিন্তভাবনা নিয়ে মেট্রোরেলে চড়েছি।

কেআর/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর