এক সপ্তাহ বাদেই ঘটা করে উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের বৃহৎ মেগা প্রকল্প স্বপ্নের মেট্রোরেলের। পুরোদমে এই রেল প্রকল্প চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৮ মিনিট। এছাড়াও ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী নিয়ে ছুটতে পারবে মেট্রোরেল। এই হিসেবে একদিনে ৫ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
>> আরও পড়ুন: ২৮ ডিসেম্বর থেকে ছুটবে মেট্রোরেল
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ছয়টি কোচ সংবলিত প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেল প্রতিবারে মাত্র ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬ স্টেশন থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এছাড়া মেট্রোতে নারী যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ট্রেনে একটি করে কোচ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধু নারীদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাইলে নারীরা অন্য যে কোনো কোচেই যাতায়াত করতে পারবেন।
তবে শুরুতে সব স্টেশনে দাঁড়াবে না মেট্রোরেল। সেই সঙ্গে চলবে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে। ফলে ট্রেনের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন হলেও শুরুর দিকে ১০০ থেকে ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে চলবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের (দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও) উদ্বোধন করার পরদিন থেকে এই যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। আর প্রথম দিকে এই রুটের ৯টি স্টেশনের তিনটিতে (দিয়াবাড়ী, পল্লবী ও আগারগাঁও) যাত্রী ওঠানামা করবে।
>> আরও পড়ুন: ‘ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল’
বিজ্ঞাপন
এদিকে, মেট্রোরেলের ৬টি বগির মধ্যে দুই দিকেই থাকবে ট্রেইলার কোচ। যেখান থেকে চালকরা ট্রেন পরিচালনা করবেন। আর প্রতিটি ট্রেইলার কোচের যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৭৪ জন। এছাড়া মাঝখানের চারটি বগির প্রতিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৯০ জন করে।
এ বিষয়ে এমআরটি-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (পূর্ত) আবদুল বাকি মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুরুতে সীমিত পরিসরে চলবে বলে খুববেশি যাত্রী হবে না। তাই সবক’টি স্টেশন এখনই চালু হচ্ছে না। তবে ৯টি স্টেশনেরই নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
টিএই/আইএইচ