শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

বয়স্ক ও অসুস্থদের জন্য মেট্রোরেলে বিশেষ ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বয়স্ক ও অসুস্থদের জন্য মেট্রোরেলে বিশেষ ব্যবস্থা

আগামীকাল ঘটা করেই দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রথম যাত্রী হিসেবে উত্তরা স্টেশন থেকে টিকিট কেটে আগারগাঁও স্টেশন অবধি মেট্রোরেল ভ্রমণ উপভোগ করবেন সরকারপ্রধান। তবে সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন উদ্বোধনের পরদিন (বৃহস্পতিবার) থেকে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বৃহৎ এই মেট্রোরেলের উদ্বোধনকে ঘিরে ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোটও মুদ্রণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই স্মারক নোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল উন্মুক্ত হলেও এতে ভ্রমণে যাত্রীদের জন্য ইতোমধ্যেই বেশকিছু নির্দেশনা ও বিধিনিষেধও জারি করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।


বিজ্ঞাপন


নির্দেশনা অনুযায়ী- মেট্রোরেলে চড়ার সময় সঙ্গে পোষা প্রাণী; যেমন- কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি বহন করা যাবে না। পাশাপাশি সঙ্গে রাখা যাবে না বিপজ্জনক বস্তু; যেমন- আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, চাকু। এছাড়া স্টেশনে বা ট্রেনে ফেলা যাবে না থুথু কিংবা পানের পিকও। আর পাবলিক প্লেসের মতো মেট্রোরেলেও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে বসেও কোনো খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

Metro Railঅন্যদিকে, মেট্রোরেলে উন্নত ও সার্বজনীন সেবা নিশ্চিতে বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিরাপদ মেট্রোভ্রমণ নিশ্চিতে নানা ব্যবস্থাও নিয়েছে ডিএমটিসিএল। এ লক্ষ্যে টিকিট কাটা, স্টেশনে ওঠাসহ সকল ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকবে ১৫০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দলও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেট্রোরেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা স্বয়ংক্রিয় টিকেট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে যারা টিকেট কিনতে পারবেন না, তাদের জন্য রয়েছে টিকেট অফিস মেশিন (টিওএম)। সেখান থেকে বিক্রয়কর্মীদের সহায়তায় তারা টিকেট পাবেন। দুইটি বুথের একটি স্থাপন করা হয়েছে অন্যটির থেকে নিচু করে। এতে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী বয়স্ক যাত্রীরা সহজে টিকিট।

প্রবেশ পথে যে সুবিধা থাকবে


বিজ্ঞাপন


মেট্রোরেলের সকল স্টেশন দুই তলায় অবস্থিত। এখানে ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি লিফট ও এক্সেলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য লিফটের ভেতরে ধরার হাতল, নিম্ন উচ্চতায় কন্ট্রোল প্যানেলও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য লিফটের সামনে থাকবে র‍্যাম্প। পাশাপাশি প্রবেশ পথসহ সকল ক্ষেত্রে অন্ধ ব্যক্তিদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতেও নির্দেশনা থাকবে।

Metro Railএছাড়াও মেট্রোরেলের স্টেশনে ওঠা থেকে থেকে শুরু করে পেইড জোন ও প্ল্যাটফর্মে অবস্থান ছাড়াও ট্রেনে আরোহণে নারী ও বয়স্কসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে থাকছে বিশেষ সুবিধা। এসব বিশেষ সুবিধা হলো-

১. হুইলচেয়ার ব্যবহারের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে মেট্রোরেলের কোচ ও প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের প্রতিটি কোচে হুইল চেয়ারের জন্য ফাঁকা জায়গা থাকবে।

২. প্রতিটি স্টেশনে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা ওয়াশরুমে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ কমোড।

৩. দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে স্টেশন ও মেট্রোরেলের প্রতিটি ঘোষণা লাউডস্পিকারে দেওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিসপ্লেতেও প্রকাশ করা হবে।

৪. প্রতিটি স্টেশনেই অন্ধ যাত্রীদের চলাচলের জন্য ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে হলুদ রঙয়ের ট্যাকটাইল পথের ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের আধুনিক সকল সেবা নিশ্চিতসহ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোর ৯টি স্টেশনে রোভার স্কাউটের ১৫০ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এমএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর