শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় ৩৫৭ পুলিশ

মোস্তফা ইমরুল কায়েস
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় ৩৫৭ পুলিশ

অপেক্ষার প্রহর অবশেষে শেষ হচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর চালু হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়বেন সরকারপ্রধান। তবে সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চলাচলের সুযোগ পাবেন পরদিন থেকে।

রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকতম এই সংযোজন ঢাকার বাসিন্দাদের যানজটহীন চলাচলের স্বস্তি দেবে। নির্ধারিত স্থানে উঠানামাসহ দ্রুতগতির এই বাহনে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এছাড়া মেট্রোরেল চলবে বিদ্যুতে, যা ঝড়-বৃষ্টিসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বন্ধ হবে না।


বিজ্ঞাপন


দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ জন্য থাকবে পুলিশের আলাদা একটি ইউনিট। এতে থাকবে ৩৫৭ জন পুলিশ সদস্য। তারা যাত্রীসহ পুরো মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করবেন। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে হাজারের বেশি সদস্য চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই প্রস্তাব কাটছাট করে ৩৫৭ জনের বিষয়টি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল), এমআরটি ও পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পুলিশ সদস্যরা আপাতত ডিএমপির থানার অধীনে কাজ করবেন। সেখান থেকে তাদের ডিউটি ভাগ করে দেওয়া হবে। কোনো অপরাধী ধরলে তা সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় সোপর্দ করা হবে। পুরো বাহিনীর কার্যক্রম শুরু হলে আলাদা থানাও হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই বাহিনীতে একজন উপ-মহাপরিদর্শক, একজন অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, একজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৭ জন নিরস্ত্র ইন্সপেক্টর, একজন সশস্ত্র ইন্সপেক্টর, ৬ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), ৫১ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), ১০ জন নায়েক, ২৭০ জন কনস্টেবল থাকবে। পাশাপাশি তাদের সাহায্য করার জন্য একজন হিসাবরক্ষক, একজন উপ-সহকারী হিসাবরক্ষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটরসহ মোট ৩৫৭ জন জনবলের একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শিগগির এটি চূড়ান্ত করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের এসব সদস্য ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা ছাড়াও স্থাপনার নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও যাত্রী সুরক্ষায় কাজ করবে। মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে থাকবে এটিএম বুথ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও দোকান। এসবের নিরাপত্তায়ও তারা কাজ করবে। তবে প্রতিটি স্টেশনের আলাদা পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাবও করা হয়েছে।

RAILএ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ঢাকা মেইলকে বলেন, মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় কতজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়টি আগামী ২৮ ডিসেম্বরের আগে অথবা দুই-একদিন পরই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। প্রস্তাবটি এখন কেবিনেট ডিভিশনে আছে। শিগগিরই সেটা পাস হয়ে যাবে।

পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই হয়ে তা ৩৫৭ করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবে ১ হাজার ৩৯ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ ইউনিটের সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা ইউনিফর্ম। তবে ইউনিফর্ম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, আপাতত রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। তবে পুরোটা চালু হলে মেট্রোরেল চলবে মতিঝিল পর্যন্ত। মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশন হবে ৯টি। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার যেতে মেট্রোরেল সময় নেবে ২০ মিনিট। পূর্ণমাত্রায় চালু হলে এই সময় কমে আসবে ১৬-১৭ মিনিটে।

এমআইকে/জেএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর