চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল থেকে আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার (রাউন্ড ফিগার) জন। আর সবমিলিয়ে গত তিন মাসে এই গণপরিবহনে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যারমধ্যে ব্যয়ের একটি বড় অংশ হলো বিদ্যুৎ বিল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ডিমটিসিএল কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
বিজ্ঞাপন
মেট্রোরেলের আয়-ব্যয় এখন পর্যন্ত খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, পরিপূর্ণভাবে মেট্রোরেল চালু না হলে বুঝা যায় না, একটা প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের আরও দুইটা স্টেশন চালু হচ্ছে। যেখানে নতুন নতুন যাত্রী যোগ হবে। অন্যদিকে এখন রমজান মাস। প্রথম দিকে একটা টুরিস্ট পয়েন্টের মতো ব্যপক জনসমাগম হতো। যে জায়গাতে ভাটা পড়েছে। তবে নিয়মিত যাত্রীরা যাতায়াত করছেন।
মেট্রোরেল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার জনবল সংঙ্কট নেই জানিয়ে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এসব দেশের থেকে আমরা অনেক অনেক এগিয়ে রয়েছি। কোনো দেশেই মেট্রোরেলে একত্রে সবগুলো স্টেশন খুলে দেওয়ার নজির নেই।
ডিমটিসিএল পরিচালক বলেন, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলিত মাসের শেষ দিন (শুক্রবার) চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন। এ নিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের অংশের নয়টি স্টেশনের সবগুলো চালু হচ্ছে। নতুন দুই স্টেশন চালু করতে দুটি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। যারা স্টেশন পরিচালনায় সমন্বয় করবে।
বিজ্ঞাপন
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের সব’কটি (নয়টি) স্টেশন চলতি মাসে চালু হয়ে যাবে। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে মেট্রো ট্রেন চলাচল। ভোর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।
ডিএইচডি/আইএইচ