বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

উন্নয়নকাজে ব্যবহার হবে মেট্রোরেলের পাতাল অংশের মাটি

দেলাওয়ার হোসাইন দোলন
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২১ এএম

শেয়ার করুন:

উন্নয়নকাজে ব্যবহার হবে মেট্রোরেলের পাতাল অংশের মাটি

এমআরটি-১ বা পাতাল অংশের বিমানবন্দর রুটের টানেল মূল সড়ক বরাবর মাটির ১০ মিটার গভীরতায় নির্মাণ করা হবে। এর খনন কাজে উন্নত প্রযুক্তির টিবিএম ব্যবহার করে টানেল নির্মাণ করা হবে। এতে সড়ক পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলা হলেও এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে দীর্ঘ এই পথের উত্তোলনকৃত মাটি সরকারি নানা উন্নয়ন কাজসহ মেট্রোরেলের ডিপোর কাজেই ব্যবহার করা হবে।

উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে প্রতিটি পাতাল স্টেশন নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে গড়ে প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার ঘনমিটার। প্রতি কিলোমিটার টানেল নির্মাণকালে উত্তোলনকৃত মাটির পরিমাণ হবে গড়ে প্রায় ৪৬ হাজার ঘনমিটার। এসব মাটি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে।


বিজ্ঞাপন


metrorailএমআরটি সূত্র বলছে, এই বিপুল পরিমাণ মাটি প্রথমে সরকারি মহাসড়ক, সড়ক, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও অন্যান্য এমআরটি লাইনসমূহের ডিপোর ভূমি উন্নয়নেও এ মাটি ব্যবহার করা হবে। এরপরও কোনো মাটি অবশিষ্ট থাকলে উন্মুক্ত দরপত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।

এমআরটি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমআরটি-১ বা পাতাল মেট্রোরেলে ২০২৬ সালে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি একমুখী মেট্রোরেলে প্রতিবারে ১২টি স্টেশনে থেমে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, ৯টি স্টেশনে থেমে ২০ মিনিটে ৩০ সেকেন্ডে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত এবং ১৬টি স্টেশনে থেমে ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

Metrorailএ ব্যাপারে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা ঢাকা মেইলকে বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই এসব মাটি ব্যবহার করা হবে। কাজ শুরু হওয়ার পর চলমান সরকারি সড়ক মহাসড়কের কাজে এ বিপুল পরিমাণ মাটির প্রয়োজন হবে। এছাড়াও মেট্রোরেলের ডিপোর কাজেও বিপুল পরিমাণ মাটির প্রয়োজন হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, এমআরটি-১ নামে পরিচিত ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন এই মেট্রোরেল দুটি অংশে বিভক্ত। অংশ দুটি হলো- বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) ও পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। এরমধ্যে পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার, যার সম্পূর্ণ অংশ উড়াল এবং মোট স্টেশন সংখ্যা ৯টি। যারমধ্যে ৭টি স্টেশন হবে উড়াল। তবে নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন দুটি বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। সেই সঙ্গে নতুন বাজার স্টেশনের সঙ্গে এমআরটি-৫-এর সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে।


বিজ্ঞাপন


ডিএইচডি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর