ঘটা করে উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য খুলেছে মেট্রোরেলের দুয়ার। দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত এই গণপরিবহনে চড়তে তাই আগ্রহের শেষ নেই নাগরিকদের। তবে রাজধানীর বুক চিরে ছুটে চলা এই মেট্রোতে চড়তে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকেও আসছেন ঢাকায়। তাদেরই একজন জসীম উদ্দিন। স্বপ্নের মেট্রোভ্রমণ উপভোগ করতে রাজধানীতে এসেছেন রাজবাড়ী থেকে।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে জসীম উদ্দিন জানান, ঢাকায় চালু হওয়া মেট্রোরেলে চড়বেন বলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজবাড়ী থেকে এসেছেন। পরে ফার্মগেট এলাকায় এক বন্ধুর মেসে উঠেন। অবশেষে মেট্রোভ্রমণ উপভোগ করতে আজ ভোরেই আগারগাঁও স্টেশনে এসেছেন বন্ধুর সঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
জসীম উদ্দিন জানান, ভোরে ফার্মগেট থেকে রওয়ানা হয়ে আগারগাঁও স্টেশনে আসি। পরে সকাল ৭টায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাউন্টারে আসতে সক্ষম হই সাড়ে ৯টায়। সবশেষ মেট্রোরেলে চড়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন দুই বন্ধু। যেন স্বপ্নের মেট্রোরেলে ছুটে চলার অনন্য মুহূর্ত ছবির ফ্রেমে বন্দি করতে ভুল না হয়!
শুধু জসিম উদ্দিন ও তার বন্ধুই নয়, মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন থেকে ৯টা ১২ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ি স্টেশনের দিকে ছুটে চলা মেট্রোরেলের এই এ-থ্রি বগিতে প্রায় সব যাত্রীই ব্যস্ত সেলফি তুলে মেট্রোযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে।
উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে আগারগাঁও স্টেশন থেকে ৯টা ১২ মিনিটে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। এর আগে টিকিট পেতে তেমন ভোগান্তি পেতে হয়নি যাত্রীদের। টিকিট পাঞ্চ করেই সবাই উঠে পড়েন দ্বিতীয় তলায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে চলে আসে ট্রেন। যাত্রা শুরুর পর মাঝের স্টেশনগুলোতে গতি কিছুটা কম ছিল। তবে সবমিলিয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পৌঁছায় ট্রেন।
বিজ্ঞাপন
অনেকে আবার দিয়াবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে ফের আগারগাঁও স্টেশনের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ যাত্রীই উত্তরা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেন। সেখানেও কাউকে ভোগান্তিতে দেখা যায়নি। কারণ, সকাল থেকেই দিয়াবাড়ি স্টেশনে ছিল বিআরটিসি বাস।
গত ২৮ ডিসেম্বর ঘটা করেই দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে অতিথিদের নিয়ে মেট্রোভ্রমণও উপভোগ করেছেন সরকারপ্রধান। তবে রাজধানীর বুক চিরে ছুটে চলা এই গণপরিবহনে ওইদিন চড়ার সুযোগ পাননি সাধারণ যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেট্রোরেলের দুয়ার। এ দিন থেকেই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মেট্রোভ্রমণ উপভোগ করতে ভিড় করেন আগারগাঁও ও উত্তরা স্টেশনে। ফলে দ্বিতীয় দিনেও মেট্রোরেলের যাত্রায় নাগরিকদের চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাস।
এমআইকে/আইএইচ