ঘটা করে উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য খুলেছে মেট্রোরেলের দুয়ার। প্রথম দিকে আগারগাঁও থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ী পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ছুটলেও আগামী ২৬ মার্চ থেকে মেট্রোরেল থামবে মাঝের স্টেশনগুলোতেও। তবে ইতোমধ্যেই মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে বসতে শুরু করেছে অস্থায়ী সব খাবারের দোকান। এতে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্টেশন ঘিরে জট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মেট্রোরেলে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের নিচের ফুটপাতে ভ্যানে করে বসছে ঝালমুড়ি-চিপসসহ নানা দোকান। যেখানে মিলছে শুকনো খাবার ছাড়াও চা-সিগারেট। এতে ক্রেতাদের ভিড় যেমন বাড়ছে, তেমনি খাওয়া শেষে এসবের উচ্ছিষ্ট আর ময়লা তারা ফেলছেন স্টেশনের নিচের ফুটপাতেই।
বিজ্ঞাপন
অস্থায়ী এসব দোকানিদের ভাষ্য- তারা মেট্রোরেল উদ্বোধনের আগে থেকেই এখানে ব্যবসা করেন। নির্মাণকাজের ফলে মাঝে কিছুদিন বসতে পারেননি। তবে এখন আবারও দোকান নিয়ে বসছেন।
কেউ বাধা দিচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নে তারা বলেন, গেল সপ্তাহ বসতে কিছু অসুবিধা হয়েছে। তবে এখন আর সমস্যা নেই।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অভিযোগও করছেন। সালাউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেইলকে বলেন, চকচকে টাইলসে ফেলা হচ্ছে পানের পিক। পলিথিনসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট তো আছেই। এ সময় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, সুযোগ পেলে তো কেউ কেউ প্রস্রাবও করতে দাঁড়িয়ে যায়!
একই কথা জানালেন আব্দুল হক নমে এক মেট্রোরেল যাত্রী। অস্থায়ী দোকানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মেট্রোযাত্রায় দেখেছি ওপরের প্লাটফর্মের পরিবেশ খুব সুন্দর। কোনো অংশেই কমতি নেই। এছাড়া আগারগাঁও স্টেশনের নিচের অংশও বেশ প্রশস্ত। আমাদের প্রতিটি কাজই শুরুতে সুন্দর থাকে। পরবর্তীতে বিপত্তির কারণ হয়। এমন চমৎকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ কিছুটা তৎপর হলেই এই সমস্যা থাকতো না।
বিজ্ঞাপন
সার্বিক বিষয়ে জানতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্টের উপপ্রকল্প পরিচালক নাজমুর ইসলাম ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডিএইচডি/আইএইচ

















































































































































































































