বিশ মিনিট ধরে কোনোভাবে চালু করা যাচ্ছিল না দিয়াবাড়ি স্টেশনের দক্ষিণ অংশের প্লাটফর্মে থাকা একটি ভেন্ডার মেশিন। ফলে সেই মেশিনের লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের অন্য লাইনে দাঁড় করিয়ে দিতে বাধ্য হন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। দিয়াবাড়ি স্টেশনের কাউন্টারে সকাল ১১টায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
পরে এই স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আরও একটি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সেটি সকাল থেকে কাজ করলেও মাঝে নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ি স্টেশনে একই সাথে দুটি মেশিন এখন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে গিয়ে জানা গেছে, একই অবস্থা আগারগাঁও স্টেশনেও।
বিজ্ঞাপন
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আগারগাঁও স্টেশনে এক যাত্রী একটি ১০০ টাকার নোট এবং সাথে ২০ টাকার নোট দিলে তিনি দুটি কার্ড পেয়েছেন সাথে ৬০ টাকা করে তার ফেরত আসে। ফলে বিষয়টিকে সমস্যা মনে করে সেই মেশিনে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্বেচ্ছাসেবকরা। পরে সেটি বন্ধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে সেখানে দায়িত্ব থাকা এক কর্মী জানান, সেই ব্যক্তি টাকার উপরে লেখা এবং ঘষামাজা নোট দেওয়ার ফলে এমনটি ঘটেছে। তবে শেষ খবর পর্যন্ত আগারগাঁও স্টেশন এবং দিয়াবাড়ি স্টেশনের চারটি অকেজ হয়ে পড়ে থাকা ভেন্ডর মেশিন চালু করা সম্ভব হয়নি।
বসুন্ধরা এলাকা থেকে এসেছেন অলক আহাম্মেদ। সকাল ১১টায় তিনি দিয়াবাড়ি স্টেশনের একটি ভেন্ডর মেশিনে দুটি ৫০ টাকার নোট এবং একটি ছেঁড়া দশ টাকার নোট প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু কোনোভাবে পারছিলেন না সেই টাকাগুলো প্রবেশ করতে। বাধ্য হয়ে তিনি দশ টাকার নোট একটি বদল করে নেন অন্য যাত্রীর কাছ থেকে।
দুই স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ করে যারা পুরান নোট নিয়ে এসেছেন তারা ভেন্ডর মেশিনের টাকা প্রবেশ করানোর পর এমন সমস্যায় পড়ছেন। এদিকে দিয়াবাড়ি স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এএস