বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনের দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হয় ট্রেইলর কার, সেখানে থাকবেন চালক। এ দুটি কোচের প্রতিটিতে ৪৮ জন বসে এবং ৩২৬ জনের দাঁড়িয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। আর মাঝখানের চারটি কোচের প্রতিটিতে ৫৪ জন বসে এবং ৩৩৬ জন দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে ছয় কোচের একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এর মধ্যে সব মিলিয়ে বসার সুযোগ পাবেন ৩১২ জন।
বিজ্ঞাপন
চড়ার পর ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে বসতে পারবেন যাত্রী। তবে বসার ক্ষেত্রে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে মেট্রোরেলের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিআরটিসির ২০টি দ্বিতল বাস চলবে। আর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে ১০টি দ্বিতল বাস চলবে দিয়াবাড়ীর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন পর্যন্ত।
বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগর পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যে ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দিয়েছে, বিআরটিসির বাসে সেই ভাড়াই নেওয়া হবে।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। পৌনে ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড সময় লাগবে।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এএস

















































































































































































































