উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০.১ কিলোমিটার। এরইমধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর ১১.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দিয়াবাড়ি-আগারগাঁও অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে যাত্রী সাধারণের জন্য। উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের কাজ প্রায় শেষ। পরীক্ষামূলক চলাচলে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। আগামী জুন মাসে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে পরীক্ষামূলক চলবে ট্রেন।
এ রুটে উড়ালপথে মেট্রোরেলের মোট ১৭টি স্টেশন রয়েছে। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সাতটি এবং মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত একটি স্টেশন রয়েছে।এর আগে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের উদ্বোধনের পরদিন সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও দিয়াবাড়ি ও আগারগাঁও ছাড়া এই অংশের বাকি ৭টি স্টেশন চালু করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে আগামী জুন মাসে। এর আগেই শেষ করা হবে বিদ্যুতের লাইন বাসানোর কাজ। ধাপে ধাপে নানা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ট্রেনগুলো চূড়ান্ত চলাচলের প্রস্তুতি নেবে। আপাতত এ রুটে চলবে ২৪ সেট ট্রেন। এরমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ২২ সেট। দেশে পৌঁছানোর অপেক্ষায় বাকি দুই সেট।
এমআরটি সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে- কয়েকটি ধাপে করতে হয় পরীক্ষামূলক চলাচল। প্রথমে ট্রেনের গতি রাখা হয় এক কিলোমিটার। এর পর আস্তে আস্তে গতি বাড়ানো হয়। এছাড়াও কোথাও বাঁক থাকলে সেখানে কি গতিতে চলবে, তা নির্ধারণ করতে হয়। সব তথ্য যুক্ত করা হয় নির্ধারিত সফটওয়্যারে। যে তথ্যর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী সকল ট্রেন চলাচল করবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত সাতটি স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বসানো হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বিদ্যুতের লাইন বসানোর কাজ। চলতি মাসেই বাকি বিদ্যুতের লাইন বসানোর কাজ শেষ হবে। যার মধ্যে দিয়ে এ রুটে পরীক্ষামূলক চলাচলে আর বাধা থাকবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, তার বাসানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে, বিদ্যুতের সংযোগ দিতে হয়। সংযোগ দেওয়া হলেই ট্রেন চলাচল কারার উপযোগী হবে। প্রথমে আমরা পারফর্মেন্স টেস্ট করে থাকি। পরবর্তীতে করা হয় সিস্টেমিটিগেশন টেস্ট। জুনে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে পরীক্ষামূলক চলাচল করবে মেট্রোরেল।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ শীর্ষক এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রুটের কাজ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ২০২৫ সালে।
ডিএইচডি/এএস