ঘন কুয়াশায় সকালে সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে কুয়াশা আর শীতকে পেছনে ফেলে সকাল সকাল দেশের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে ভিড় করেন শত শত মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে সংখ্যা হাজার ছাড়ায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় যাত্রীবাহী মেট্রোরেল চলাচল। সকাল ৬টার আগে থেকেই যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল স্টেশনের বাইরে।
বিজ্ঞাপন
বাইরের দীর্ঘ লাইন ঢেলে একে একে যাত্রীরা প্রবেশ করেন স্টেশনে। সেখানে দাঁড়াতে হয় টিকিট কাটার লাইনে।
টিকিট কাটার পদ্ধতি ছিল দুই রকম। যাত্রী নিজেরাই মেশিন থেকে নিজেদের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছিলেন। তবে সার্ভারে সমস্যার কারণে টিকিটের বেশ কিছু মেশিন বন্ধ ছিল। ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হয়েছে অধিকাংশ যাত্রীদের।
উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে ৬০ টাকা। যাত্রীরা টিকিট কেটে নিয়ম মেনে ট্রেনে উঠে ভ্রমণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য দুই স্টেশনে দেখা গেছে ৩৬ জন স্কাউট সদস্যদের। এছাড়া পুলিশ, আনসার ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও যাত্রীদের সহযোগিতা করেছেন।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহযোগিতা ঘাটতি ছিল না কোথাও।
স্টেশনে প্রবেশ, টিকিট কাটা, চলাচল, ট্রেনে ওঠা-নামা, স্টেশন ত্যাগ করা, সকল পর্যায়েই আন্তরিকতার ছোঁয়া পেয়েছেন তারা।
সিরাজুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী বলেন, আমি সকাল ৭টায় আসি। সব কিছুই আমার কাছে নতুন। তবে এখানে সবাই বেশ সহযোগিতা করেছেন।
সিনথিয়া ইসলাম নামে এক নারী যাত্রী বলেন, সব জায়গায় সব নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেগুলো সব কিছুকে সহজ করে দিয়েছে। এছাড়া এখানে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, সবাই বেশ আন্তরিক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য টিকিট ফ্রি শুনেছিলাম। এখানে এসে দেখি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধের জন্য। পরে টিকিট কিনেই উঠেছি। আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিক আছে।
এর আগে দেশের বাইরে মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে সাইফুল-সেলিনা দম্পতির। দেশের মেট্রোরেলে ভ্রমণ শেষে তিনি বলেন, দেশের বাইরের চাইতে আমাদের দেশেরটা ভালো হয়েছে। কারও আন্তরিকতায় কমতি ছিল না। আমরা খুবই খুশি।
কারই/এএস