মেট্রোরেলের পঞ্চম স্টেশন হিসেবে মিরপুর ১০ স্টেশনটি চালু হয়েছে। এই স্টেশন থেকে যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত শুরু করেছেন। তবে নতুন মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের খুব একটা চাপ দেখা যায়নি।
বুধবার (১ মার্চ) মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের গেট সকাল ৮টায় খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে কয়েকজন যাত্রীকে গেটের সামনে আসতে দেখা যায়। তবে গেট খুলে দেওয়ার পর যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের জন্য কোনো লাইন ধরতে হয়নি।
ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় রোভার স্কাউটরা যাত্রীদের সহযোগিতা করছেন। এছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও যাত্রীদের সহায়তা করছেন।
জানা গেছে, মিরপুর-১০ থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা, উত্তরা সেন্টার ও দক্ষিণ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা, পল্লবী ২০ টাকা ও আগারগাঁও ২০ টাকা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাকি চারটি স্টেশনও চালু করবে। আর জুলাই মাসে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ স্টেশন হিসেবে যাত্রী চলাচলের জন্য চালু হয় ‘উত্তরা সেন্টার’। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই স্টেশন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মিরপুর-১০ অধিক জনবহুল এলাকা। এখান থেকে আমরা অধিকসংখ্যক যাত্রী পাব। তবে স্টেশন ও মেট্রোট্রেন ব্যবহারে এই এলাকার মানুষের অভ্যস্ত হতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরা (দিয়াবাড়ী), আগারগাঁও স্টেশন দিয়ে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। পরে পল্লবী স্টেশন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সবশেষ মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন হিসেবে খুলে উত্তরা সেন্টার স্টেশনটি। আর এবার খুলল মিরপুর-১০ স্টেশন।
ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। যা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এই প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। এছাড়া মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ (আগারগাঁও থেকে মতিঝিল) ২০২৩ সালের শেষদিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
ডিএইচডি/জেবি