শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

মেট্রোরেল পুলিশের প্রথম ডিআইজি জিহাদুল কবির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

মেট্রোরেল পুলিশের প্রথম ডিআইজি জিহাদুল কবির
ফাইল ছবি

মেট্রোরেল পুলিশের প্রধান হলেন ডিআইজি জিহাদুল কবির। যিনি ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিট গঠনের পর প্রথম ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞপনে তাকে মেট্টোরেলে ডিআইজি হিসেবে নিয়োগ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


ডিআইজি জিহাদুল জবির ১৯৯৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উডটেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ২০তম বিসিএস-এ এএসপি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তার প্রথম পোস্টিং হয়ে বরিশালের গৌরনদী সার্কেল এএসপি হিসেবে। এরপর তিনি ২০১২ সালে প্রথম পুলিশ সুপার হিসেবে মাগুরা জেলায়, ২০১৫ সালে রাজবাড়ী, ২০১৬ সালে পাবনা জেলা ও ২০১৮ সালে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২২ সালের ১১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের এক আদেশে জিহাদুল কবিরকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে পদোন্নতি দিয়ে ডিআইজি পুলিশ সদর দফতরে ন্যস্ত করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়। আর এবার দায়িত্ব পুলিশের নতুন ইউনিট মেট্টোরেলে।

১৯৭৫ সালের ৪ জানুয়ারি বাগেরহাটের কাড়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিহাদুল কবির। তিনি ২০০৯ ও ২০১১ সালে আইজিপি ব্যাজ, ২০১৪ সালে পিপিএম পদক লাভ করেন।

 

 


বিজ্ঞাপন


গত মে মাসে মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিট গঠনের অনুমোদন দেয় সরকার। গত ২১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে গত ২৪ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ সৃজন এবং ১৫টি যানবাহন টিওঅ্যান্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ঢাকায় প্রথম চালু হয় মেট্রোরেল। আরও পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন হচ্ছে, যার আওতায় থাকছে ১২৮ কিলোমিটার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডিএমটিসিএলের এ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল ও ৫৩টি পাতাল স্টেশনসহ মোট ১০৪টি স্টেশন তৈরি হবে। বিশাল এ স্থাপনা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে দিতে এ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের একাধিত কর্মকর্তার মতে, যাত্রীদের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও যাত্রী সুরক্ষায় মূলত পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট দরকার ছিল। এছাড়া মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে এটিএম বুথ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও দোকান থাকবে সে কারণে এসব নিরাপত্তা দেবে এই এমআরটি ইউনিট।

ডব্লিউএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর