অপেক্ষার প্রহর ঘনিয়ে স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার আর খানিকটা সময় বাকি। পদ্মা সেতুর পর এবার বাস্তবে ধরা দিচ্ছে দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল প্রকল্প। আগামীকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ঘটা করেই এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়বেন সরকারপ্রধান। তবে সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন উদ্বোধনের পরদিন (বৃহস্পতিবার) থেকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে মেট্রোরেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা ও বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ডিএমটিসিএল বলছে- মেট্রোরেলে চড়ার সময় সঙ্গে পোষা প্রাণী; যেমন- কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি বহন করা যাবে না। পাশাপাশি সঙ্গে রাখা যাবে না বিপজ্জনক বস্তু; যেমন- আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, চাকু। এছাড়া স্টেশনে বা ট্রেনে ফেলা যাবে না থুথু কিংবা পানের পিকও। আর পাবলিক প্লেসের মতো মেট্রোরেলেও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে বসেও কোনো খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
উদ্বোধনের পরদিন (বৃহস্পতিবার) থেকে চালু হওয়ার পর মেট্রোরেল চলবে দিনে চার ঘণ্টা (সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা)। এছাড়া উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে প্রথম দিকে ট্রেন মাঝপথে কোথাও থামবে না। এ ক্ষেত্রে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট (কার্ড) কাটা যাবে। পৌনে ১২ কিলোমিটারের এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা।
পুরোপুরি চালু হওয়ার আগে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। এরমধ্যে একটি স্থায়ী এবং অন্যটি একবারের যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড। প্রথম দিকে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড বিক্রি শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরেও এটি কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমটিসিএল। ১০ বছর মেয়াদী স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। আর এই কার্ড দিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণে প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা।
/আইএইচ